দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওবামার ডুব্লিকেট এমন এক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে। এই চেহারা মানুষের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারে তা এবার প্রমাণ হলো! ওই ব্যক্তি বসবাস করেন চীনে।
চীনের ওই ব্যক্তি দেখতে অবিকল ওবামার মতিই! তবে সেটি আসলে মূল বিষয় নয়, মূল বিষয় হলো এই চেহারার কারণে তার ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে! এখন ওই ব্যক্তির নাকি ১০ মিনিটে আয় হচ্ছে ১৫শ’ ডলার!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, চীনের ও্ই নকল ওবামার সংবাদ প্রকাশ পায় আরও কয়েক বছর আগে। এই নিয়ে তোলপাড়ও হয়েছে সবখানে। তবে এসবের তেমন কিছুই জানতেন না চীনের ওবামা খ্যাত সিয়াও জিগা। এর একটি কারণ, আর তা হলো সিয়াও তখন নিতান্তই এক দরিদ্র লোক। চাকরি করতেন সাধারণ নাইট গার্ডের। যৎ সামান্য মাইনে পেতেন সেটা দিয়ে সংসারের টানাপোড়েনের কারণে খবর পড়ার সময় হতো না। কিন্তু বন্ধুদের সাহায্যে এখন তিনি রীতিমতো স্টার বনে গেছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দরিদ্র এই নাইটগার্ড সিয়াওয়ের বর্তমানে ১০ মিনিটে আয় ১৫শ’ ডলার। কোনো কঠিক কাজও নয় তার। কোনো সমাবেশ বা সেমিনারে গিয়ে হুবহু ওবামার মতো অভিনয় করা। সেটা কয়েকদিন প্র্যাক্টিসের পর পুরোপুরি আয়ত্বও করেছেন তিনি। এখন সেই কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিদিন আয় করে চলেছেন হাজার হাজার ডলার!
ওবামার সেহারর সঙ্গে মিলের খবর প্রথম প্রকাশ পায় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। বারাক ওবামা নির্বাচিত হওয়ার পর তার খবর যথন ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কিন্তু সিয়াও তখন এসব খবর রাখতেন না। একদিন খুব ছোট করে চুল কেটেছিল সিয়াও জিগা। তারপর তার এক বন্ধু বলেন, তোকে তো অবিকল বারাক ওবামার মতোই লাগছে। সিয়াও তখন জিজ্ঞেস করেন ওবামা আবার কে? বন্ধুটি বিস্তারিত জানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা সম্পর্কে। তখন এই খবর ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। সাংবাদিকরা ছোটেন সিয়াও জিগার কাছে। এরপর সিয়াও জিগা পেয়ে যান তারকা খ্যাতি।
তবে খ্যাতি পেলেই বা কি লাভ, তাতে কি তার দিন পাল্টাবে? সিয়াও জিগা নির্বিকার। তিনি আগের মতোই কাজ করে যান। কিন্তু সম্প্রতি তার বন্ধুরা এমন এক কৌশলের কথা বললে প্রস্তাবটা তার মনপুত হয়। সিয়াও তখন ওবামাকে নকল করতে থাকেন। সেটাতে সফলও হন সিয়াও জিগা।
চীনের এই ব্যক্তি সিয়াও জিগা সংবাদ মাধ্যমকে তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমার চেহারা ওমাবার সঙ্গে অবিকল মিল হওয়ায় আমি খুব খুশি। আমার ইচ্ছে, জীবনে একবার হলেও তাকে সরাসরি দেখার। ওবামার চেহারার সঙ্গে যেমন আমার মিল রয়েছে, তেমনি বয়সেও আমরা প্রায় কাছাকাছি। আবার রক্তের গ্রুপও আমাদের এক!