দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুসলিম ধর্মে নারীদের হিজাব প্রথা রয়েছে। কিন্তু অনেক মুসলিম নারীও হিজাব পরেন না। অথচ জার্মান অভিনেত্রী মাথায় হিজাব পরে অন্যরকম অনুভূতি পেয়েছেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, জার্মানের এক অমুসলিম অভিনেত্রী একটি সিনেমায় মুসলিম নারীর চরিত্রে অভিনয়কালে মাথায় হিজাব পরেন। কিন্তু তিনি হিজাব পরার পর হতে এক অন্যরকম অনুভূতি পাচ্ছেন।
হিজাব মাথায় নিয়ে অভিনয় প্রসঙ্গে ওই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি যখন প্রথমবারের মতো হিজাব ব্যবহার করি, তখন হতেই আমার ভিতরে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করেছে। শুধু তাই নয়, আমি বেশ স্বস্তিবোধ করেছি। কোনো রকম জড়তা অনুভব করিনি।’
জার্মানের ২৫ বছর বয়সী এই অমুসলিম অভিনেত্রীর নাম হলো চেলিক। শুধু অভিনয় নয়, সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করে থাকেন তিনি। এই পর্যন্ত চেলিক ৪টি সিনেমা এবং বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন।
হিজাব প্রসঙ্গে চেলিক আরও বলেছেন, ‘আমি যখন স্কার্ফ পরে আয়নায় আমার চেহারা দেখলাম, আমার ভিতরে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করেছে। আমি নিজেকে দেখার পর নিজেই বেশ আশ্চর্য হয়েছি।’
চেলিক ওই সিনেমাটিতে ‘সোডা’ নামে উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এক মুসলিম তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ওই তরুণীর জন্ম হয় একটি ধর্মনিরপেক্ষ পরিবারে।
অভিনয়ের চরিত্র প্রসঙ্গে চেলিক বলেছেন, ওই মেয়েকে একজন দায়িত্বশীল মুসলিম হিসেবে দেখানো হয়েছে। আসলে একজন বুদ্ধিমতী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে আমাকে। যে কি-না নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম-কর্ম পালন করে ও বিশ্বাস করে সম্প্রীতি রক্ষার।
ওই সিনেমায় চেলিকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এক বখাটে যুবকের। যার কাজ টাকার বিনিময়ে সমাজের শান্তি বিনষ্ঠ করা। তবে সে এক সময় চেলিকের প্রেরণায় ওই পথ ছেড়ে দেয়। মূলত এই সিনেমায় একটি মুসলিম মেয়ের নানা সমস্যা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সের পরই জার্মান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। সেখানকার কৃষ্টি-কালচার অনেক কিছুই চলচ্চিত্রে উঠে আসে।