দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে এক ভর্তি-ইচ্ছুককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি করায় হাসিবুল হাসান নামের এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার এই দণ্ড দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আজ (শুক্রবার) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক-ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময় মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষ হতে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ অভিযুক্ত হাসিবুলকে আটক করা হয়। এরপর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী মাহবুব পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনের ১৯৮০-এর ৯ (খ) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত হাসিবুলকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশের মাধ্যমে হাসিবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা মাস্টার কার্ডের মতোই। এর ভেতরে একটি সিম রয়েছে। এই ডিভাইসটি ঠিক মুঠোফোনের মতো কাজ করে। ওই ডিভাইস ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিবুলের কানে ছিল খুব ছোট্ট একটি হেডফোন। বাইরে হতে কেও একজন উত্তর সরবরাহ করছিলেন, হাসিবুল ওই ডিভাইসের মাধ্যমে তা শুনে লিখছিলেন।
প্রক্টর আমজাদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসিবুল পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেছেন, ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের ফরহাদ মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের জন্য চুক্তি হয়েছিল। অভিযুক্ত ফরহাদকেও আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।