দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে খাটো পোশাকের কদর কমে গেছে। শুধু মুসলিম সমাজেই নয়, এটি এখন প্রায় সব সমাজেই নিষিদ্ধ পোশাকে পরিণত হতে চলেছে। খাটো পোশাক পরার অপরাধে সম্প্রতি এক নারীকে দিল্লিগামী ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি!
ওই যাত্রীর নাম পুরবী। ওই যাত্রীর পরণে ছিল একটি খাটো পোশাক। খাটো জামা পরেই তিনি কাতারের দোহা হতে ভারতের মুম্বাইয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো, কারণ খাটো পোশাক পরায় তাকে বিমানে উঠবে দেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।
এমন বিপত্তিমূলক ঘটনাটি ঘটে মুম্বাই হতে দিল্লি যাওয়ার সময়। ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা খাটো জামার অজুহাতে ওই নারীকে দিল্লিগামী ফ্লাইটে উঠতে দেননি। কারণ জামাটা নাকি বড্ড খাটো ছিল! গত সোমবার মুম্বাই বিমানবন্দরে ঘটে এমন ঘটনা।
ওই যাত্রী পুরবী দাস তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কাতারের দোহা বিমানবন্দর হতে প্রথমে মুম্বাই আসেন তিনি। এ সময় তার পরণে ছিল একটি ফ্রক, যা শেষ হয়েছে হাটুর কিছুটা উপরেই। ইসলামি রাষ্ট্র কাতারের বিমানবন্দরও সেই ফ্রক নিয়ে কোনো আপত্তি তোলেনি। কিন্তু মুম্বইায়ে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের গ্রাউন্ড স্টাফদের মনে হলো যে, ওই ফ্রক বড্ড খাটো! হাটু ও উরুর কিয়দংশ উঁকি দিচ্ছে যে পোশাকের নিচ হতে, তা পরে কোনো নারীকে বিমানে উঠতে দেওয়া যাবে না।’
ইন্ডিগোর বিমানেই ওই যাত্রীর দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাদের অনমনীয় মনোভাবের কারণে নির্ধারিত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্রক বদলে ট্রাউজার পরার পর দিল্লিগামী আরেকটি ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি পান ওই নারী যাত্রী!
এনডিটিভি অনলাইন খবরে আরও বলা হয়, বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই যাত্রীর এক বোন ইন্ডিগোতে কর্মরত। কর্মী বা তার পরিবারের কেও সংস্থার দেওয়া ট্রাভেল প্যাকেজের আওতায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে উঠলে, তাদের নির্দিষ্ট পোশাকবিধি মানতে হয়। কাতার হতে ভারতে আসা যাত্রীকে সেই বিধিই মেনে চলতে বাধ্য করা হয়েছিল সেদিন।