দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিকারুননিসার ছাত্রী ধর্ষণকারী পরিমলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা হওয়ার ৪ বছর পর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন আজ বুধবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পরিমলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাস সাজা খাটতে হবে তাকে।
রাজধানীর খ্যাতনামা এই বিদ্যালয়টির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক পরিমলই ছিলেন এই মামলার একমাত্র আসামি। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন পরিমল।
জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের পরিমল ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক পদে যোগদান দেন।
২০১১ সালে হওয়া মামলায় ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকেও আসামি করেছিলেন ধর্ষিত ছাত্রীরা বাবা। তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ এবং লুৎফরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিওচিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন আবারও ধর্ষণ করে ওই ছাত্রীকে। পরে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।
তারপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর একদিন পর পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন পরিমল।