দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দিনকে দিন যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে সাধারণ মানুষ চরম এক শংকার মধ্যে রয়েছেন। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই ঘটাচ্ছে আইএস। খবর বেরিয়েছে আইএস জঙ্গিরা নাকি ট্যাবলেট খেয়ে যুদ্ধ করেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বিস্মিত সকলেই। কারণ খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিরা নাকি একধরনের ট্যাবলেট খেয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রচণ্ড নেশা সৃষ্টিকারী এই ট্যাবলেট খাওয়ার কারণেই জিহাদিরা কোনো রকম বিচার বিবেচনা ছাড়াই নির্বিচারে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালাতে সক্ষম। এমনটিই সন্দেহ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ওই ট্যাবলেটটির নাম ক্যাপ্টাগণ। এই ট্যাবলেটটি সিরিয়াতেই উৎপাদিত হয়। ট্যাবলেটটি পাওয়া যায় মধ্যপ্রাচ্যের সবখানেও।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ট্যাবলেট বিক্রির কোটি কোটি ডলার চলে যায় যুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার কালো বাজারে। এসব অর্থ দিয়ে জিহাদি যোদ্ধারা আবার নতুন নতুন অস্ত্র কিনছে, তাই জিইয়ে রাখতে পারছে এসব যুদ্ধকেও!
খবরে বলা হয়েছে, ক্যাপ্টাগণ নামের শক্তিশালী এই ড্রাগটি খুব দ্রুত কাজ শুরু করে। এটি খেয়েই সিরিয়ার যোদ্ধারা ঘুম বিশ্রাম ফেলে দিনে-রাত ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে পারছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি ছাড়াও এই ড্রাগের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
নেশা সৃষ্টিকারী ওই ট্যাবলেট গ্রহণ করেন এমন লেবাননের একজন বলেছেন, ‘এই ড্রাগটি নিলে আপনি ঘুমানো তো দূরের কথা, চোখও বন্ধ করতে পারবে না!’ বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে অপর একজন ওই ট্যাবলেট গ্রহণকারী বলেছেন, ‘এই ট্যাবলেট এমনই নেশাকর যে একবার এই ট্যাবলেট খেলে আপনি আর কিছুতেই এটা খাওয়া বন্ধ করতে পারবেন না!’ ওই ব্যক্তি আরও বলেছেন, ‘মনে হবে আপনি পৃথিবীর শীর্ষে অবস্থান করছেন। আপনার যে ক্ষমতা তা আর কারও নেই।’
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের ধারণা ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধারা এই ড্রাগ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেন। আবার সৌদি আরবেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরবে প্রতিবছর ৪০ হতে ৫০ হাজার মানুষ এই নেশার জন্যে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এরপর এই ড্রাগের উৎস হয়ে উঠে সিরিয়ায়। সিরিয়া হতে এই ড্রাগটি ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।