দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক খোলা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। ফেসবুকের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর সকলেই আশাবাদি হয়েছিলেন। কিন্তু ফেসবুক সহসাই খোলার বিষয়টি এখন অনিশ্চিত!
দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমানে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। যে কারণে সহসাই ফেসবুক খোলার কোনো আশ্বাস মিলছে না।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখেই মূলত প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আগেই ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, এ লক্ষ্যে তারা সফল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘যে উদ্দেশ্যে আমরা এসব মাধ্যম বন্ধ রেখেছি, আমরা তাতে সফল হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ সময়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘নাশকতাকারীদের ওপর নজর রাখতে সুবিধা হয়েছে। নাশকতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
কবে খোলা হচ্ছে এসব মাধ্যম এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এসব মাধ্যম বন্ধ থাকার কারণে অনেকের, বিশেষ করে আমাদের মেধাবী তরুণদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাই শীঘ্রই সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এসব মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
তাই ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেসবুক খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় ১১ হাজার ই-কমার্স ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ।