দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইচ্ছে থাকলে মানুষের পক্ষে সব কিছুই সম্ভব। যেমন এবার এ কথাটি প্রমাণ করলেন এক চা বিক্রেতা ডি প্রকাশ নামে এক ব্যক্তি। তিনি চা বিক্রির টাকায় স্কুল চালান!
ইচ্ছে থাকলে মানুষের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। ঠিক এমন প্রমাণ করলেন ডি প্রকাশ নামের এক চা বিক্রেতা। তিনি চা বিক্রির টাকায় একটি স্কুল পরিচালনা করে আসছেন। যা সকলকেই হতবাক করে। কারণ পয়সা না থাকলেও ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই করে দেখানো যায় প্রকাশ সেটিই করে দেখিয়েছেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দরকার একটা বড় মনের। যা সবার মধ্যে থাকেনা। আর যাদের মধ্যে বড় কিছু করার ইচ্ছা থাকে তারা যে কাওকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এর এক জ্বলন্ত প্রমাণ হলো ভারতের কটকের বাসিন্দা চা বিক্রেতা ডি প্রকাশ।
নিজে একদিন পড়ালেখা করতে পারেননি। তাই তার সেই আক্ষেপ থেকে বা পড়ালেখা না পারার হতাশা দূর করেন নিজের রোজগারের টাকায় বাচ্চাদের লেখাপড়া শিখিয়ে। নিজের চা বেচা রোজগারের অর্ধেকটা তিনি প্রতিমাসে নিয়ম করে খরচ করেন গরিব ঘরের বাচ্চাদের পড়াশোনার পিছনে। ভারতের কটকে তার টাকাতেই চলে দুঃস্থ বাচ্চাদের একটি স্কুল। যেখানে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ এরও বেশি!
সংবাদ মাধ্যকে জানান প্রকাশকে মাত্র ৭ বছর বয়সেই হাতে তুলে নিতে হয়েছিল চায়ের কেটলি। স্টেশনে দাঁড়ানো দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের নিকট চা বেচতে বেচতেই প্রকাশ একদিন বড় হয়ে ওঠেন। আর তাই পড়াশোনায় সময় দিতে পারেননি তিনি।
৫৮ বছর বয়সের প্রকাশ শৈশব শিক্ষার সেই শূন্যস্থান আজ পূরণ করেন গরিব বাচ্চাদের পড়া-লেখার ব্যবস্থা করে। বাকি জীবনটা তিনি এভাবেই কাটাতে চান- জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। নিজে একদিন লেখা-পড়া করতে পারেননি ঠিকই কিন্তু তিনি বহু গরীব শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবানদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, কোনো মহৎ কাজ করতে চাইলে ইচ্ছাশক্তি থাকলেই যথেষ্ট।
দেখুন ভিডিওটি