দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় এখনও লাশ উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। এই বহুতল ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ার গতকাল ছিল ১৩তম দিনেও মিলেছে লাশের স্তূপ। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের হাড় থেকে মাংস খসে পড়েছে। উঠে গেছে চুল। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মাথা। ফলে অনেক স্বজনই তার প্রিয়জনের লাশ চিনতে পারছেন না।
মোবাইল ফোন ও আইডি কার্ডের জন্য অনেক লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। আর যাদের কাছে মোবাইল ফোন বা আইডি কার্ড পাওয়া যায়নি তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এদিকে সময় যতই গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে লাশের সংখ্যা। গতকাল প্রথম প্রহর থেকে রাত পর্যন্ত ৫৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসে লাশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৫, এর মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ৫২৮ মৃতদেহ।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানিয়েছেন, লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই তা উদ্ধারের জন্য কার্যক্রমে কিছুটা গতি কমানো হচ্ছে। সকালের দিকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরপরই পুরো উদ্যমে শুরু হয় কার্যক্রম।
এদিকে, উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে গতকাল সকালে নতুন যন্ত্রপাতির সঙ্গে বেশ কয়েকজন উদ্ধারকর্মী সদস্যও যোগ হয়েছে। লাশ উদ্ধারের জন্য এখন ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলেও খুব সাবধানে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। কারণ এখনও বহু লাশ বিধ্বস্ত ভবনে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। আত্মীয় স্বজনরা এখনও অকুস্থলে কান্নাকাটি করছেন।