দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বাবা-মা মৃত সন্তানের অঙ্গ দান করে ৬ জনের প্রাণ রক্ষা করলেন! এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। মৃত সন্তানের কিডনি, হার্টের ভালভ্, লিভার ও চোখ কাজে লাগিয়েছেন তার বাবা-মা।
মাত্র ৫ বছর বয়সের এক শিশু! মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল ছোট্ট জনস্রুথি। মাঝ রাস্তায় ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একটি বেসরকারি হাসপাতাল হতে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সঙ্কট যে কাটেনি তা বোঝা যায় তার মাত্র একদিন পর হতেই। ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে জনস্রুথির শারীরিক অবস্থার। কোয়ম্বত্তুরের একটি নামি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। তারপরও চিকিৎসায় সাড়া মেলেনি। তার ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
তাদের একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে স্বভাবতই খুব ভেঙে পড়েছিলেন জনস্রুথির বাবা-মা। পরে তারা তার মেয়ের দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেন। মেয়ের দেহ দানের এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসকরাও প্রথমে হতচকিয়ে যান। সচরাচর এরকম নজির নেই।
সংবাদ মাধ্যমকে চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটির কিডনি, হার্টের ভালভ্, লিভার ও চোখ কাজে লাগানো হয়েছে। বিশেষ বিমানে একটা কিডনি ও লিভার তারা চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আর যে হাসপাতালে জনস্রুতি ভর্তি ছিল সেখানকারই এক রোগীর দেহে এক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। জনস্রুথি দান করা অঙ্গে ৬ জন মুমূর্ষ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। ৬ জনের জীবন বেঁচেছে এই দানের কারণে।
৬ জনের জীবন বাঁচায় শিশুটির মা-বাবাও গর্বিত। কোয়ম্বত্তুরের এক সরকারি হস্টেলের রাঁধুনি তার বাবা বলেন, ‘এই ভাবেই অন্যদের মাঝে আমাদের মেয়ে বেঁচে থাকবে।’ সত্যিই তাই, গর্বিত এক বাবা-মা তারা!