দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে আবারও সংবাদ মাধ্যমগুলো মেতে উঠেছে। ওবামার হাতে ‘কালেমা’ লেখা আংটি এমন খবরে তোলপাড় বিশ্বময়!
যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল খ্রিস্টান গণমাধ্যম ‘ডব্লিওএনডি ডট কম’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে আবারও অপপ্রচারে নেমেছে। ও গণমাধ্যমটির নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওবামা গত ৩০ বছর ধরে তার হাতে যে আংটিটি পরে আসছেন তাতে মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘কালেমা’ খোদাই করা নকশা রয়েছে!
ইতিপূর্বেও ওবামাকে নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায় এই ওয়েবসাইটটি। ২০০৮ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ওবামাকে ‘মার্কিন নাগরিক নয়’ বলে আখ্যায়িত করেছিল এই গণমাধ্যমটি। এছাড়া ২০০৯ সালে মিশরের কায়রোতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে তাকে মুসলিমভাবাপন্ন বলেও মন্তব্য করেছিল ডব্লিওএনডি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল গণমাধ্যম ডব্লিওএনডি ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জোসেফ ফারাহ নিজেও একজন রক্ষণশীল খ্রিস্টান। তার স্ত্রী এলিজাবেথ ফারাহ রক্ষণশীল প্রোটেস্টেন্ট খ্রিস্টানদের একটি সংগঠন ‘এভানজেলিক্যাল ক্রিশ্চিয়ানে’র একজন নেত্রী।
বর্তমানে তারা বারাক ওবামার হাতের আংটিকে কেন্দ্র করে তাকে মুসলিম হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা পড়াশুনা করেছেন দেশটির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ছাত্রজীবন হতেই একটি আংটি তিনি তার হাতে পরে আসছেন।
১৯৯২ সালে তিনি যখন বিয়ে করেন, তখনও তার হাতে এই রকম একটি আংটি পরিয়ে দেন তার স্ত্রী মিশেল ওবামা। গণমাধ্যমটি দাবি করেছে যে, ওবামার ৩০ বছর ধরে পরে আসা এই আংটিটির নকশা আরবি ভাষায় লিখিত। একজন আরবি ভাষাবিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বলা হয়েছে, তার আংটিতে খোদাই করা এই নকশাটি ‘কালেমা শাহাদাত’। যার অর্থ, ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’
তাদের খবরে বলা হয়, এই কথাটির মাধ্যমেই মুসলিমরা তাদের ধর্মবিশ্বাসের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। ইসলামের ৫টি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে এটিই প্রথম। এর মাধ্যমে আল্লাহকে একক ও মুহাম্মদ (স.) কে তার প্রেরিত পুরুষ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একজন মুসলিম হতে হলে কালেমা শাহাদাতে স্বীকৃতি দেওয়া বাধ্যতামূলক।
খবরে আরও বলা হয়েছে, ওবামার আংটির ছবি দেখে মিশরের আরবি ভাষা বিশেষজ্ঞ ড. মার্ক এ গ্যাব্রিয়েল এটিকে কালেমা শাহাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি একে কালেমার প্রথমাংশ বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ এটি হলো, ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’
খবরে আরও বলা হয়, ওবামার ১৯৮১, ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালের বেশ কয়েকটি ছবিতেও ওবামাকে এই আংটিটি পরা অবস্থায় দেখা যায়। ১৯৮৮ হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পুরো সময় জুড়ে তার হাতে ছিল এই আংটিটি। আরবি ক্যালিগ্রাফিতে এ ধরনের নকশা সচরাচর দেখা গিয়ে থাকে। বিশেষ করে কোরানের কোনো বার্তা-সংবলিত নকশায় বেশি দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন মিশরের আরবি ভাষা বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল।