দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইচ্ছ থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব। এমন এক কাহিনী রয়েছে আজ আপনাদের জন্য। সাধারণ রিকশাচালক হয়েও তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছেন। রিক্সা চালিয়ে তিনি হতে চলেছেন বিসিএস ক্যাডার!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, খুলনার ফুলতলায় বাড়ি তার। তার নাম সোহেল। রিকশা চালিয়েও তিনি পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার দোর গোড়ায় পৌঁছেছেন। এমন কথা হয়তো আমরা আগে শুনিনি। তবে খুলনার এই কৃতি সন্তান সোহেল তাই করে দেখিয়েছেন।
সোহেল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কোনো প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনার একটি কলেজ হতে ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর পাস করেন। খুলনায় থাকাকালীন দিনে ৪টি টিউশনি করতেন তিনি। এই টিউশনির টাকা দিয়ে নিজে চলতেন আর কিছু টাকা বৃদ্ধ বাবাকেও দিতেন।
স্নাতকোত্তর পাস করার পর সোহেল ঢাকায় আসেন ভালো কিছু করার জন্য। ঢাকায় এসে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। দিনের অধিকাংশ সময়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি রাতে একটি কোচিং এ ক্লাস নিতেন। তবে কোচিংয়ে ক্লাস বেশিদিন তিনি নিতে পারেনি। সোহেল এক সময় বাধ্য হয়ে রাতের কিছুটা সময় রিকশা চালিয়ে নিজের খরচ ও পরিবারের খরচ মেটাতেন। অনেক সময় মেসের ভাড়া বা খাওয়ার টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। এইজন্য অনেক লাঞ্ছনার শিকারও হতে হয়েছে তাকে।
তার পরও হাল ছাড়েননি সোহেল। ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে তার নাম না আশায় তিনি আশাহত হননি। সামনে লক্ষ্য ৩৫ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য এখন অপেক্ষা। তবে ইতিমধ্যে সোহেল একটি সুখবর পেয়েছেন পিএসসি হতে প্রকাশিত নন ক্যাডারের তালিকায় তার নাম এসেছে।
অবশেষে কষ্টের ফল তিনি পেয়েছেন। তবে তার মুললক্ষ্য হলো ৩৫ তম বিসিএস। ৩৫ তম বিসিএসে তিনি হতে পারবেন শিক্ষক- এমনটিই প্রত্যাশা সোহেলের।