দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানের আবিষ্কার দিনকে দিন মানুষকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় এমন কিছু রোবট আবিষ্কার হয়েছে যে কে মানুষ আর কে রোবট বোঝা দুষ্কর!
এমন অচেনা মানুষের মতোই দুজন পাশাপাশি। কিন্তু তাদের চেনা বড়ই দুষ্কর ব্যাপার। তাকালে দেখা যাবে এক অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। উজ্জ্বল দু’টি চোখ তাকিয়ে রয়েছে সরাসরি। ঠিক মধ্যবয়সী চেহারা, হাল্কা ভাঁজ পড়েছে গলার চামড়াতে। কাঁধ পর্যন্ত সোনালি চুল রয়েছে। মুখে রয়েছে স্মিত হাসি।
যন্ত্রমানবী নাদিন! আক্ষরিক অর্থেই যন্ত্র এবং মানুষ। এর কারণ হলো এ যন্ত্রের ‘মান’ রয়েছে আবার ‘হুঁশ’ও রয়েছে। রূপে-গুণে-কাজে-কর্মে একেবারে মানুষের মতোই। এই রোবট ‘নাদিন’কে বানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ‘ন্যানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি’র সুইডিশ – কানাডিয়ান অধ্যাপিকা নাদিয়া থ্যালমান। এটিকে বানিয়েছেন অনেকটা নিজের চেহারার আদলেই।
রোবট ‘নাদিন’ ও অধ্যাপিকা নাদিয়া থ্যালমান দু’জনকে পাশাপাশি দেখলে মিল চোখে পড়বেই। অধ্যাপিকা নাদিয়া সেটিই চেয়েছিলেন। এমন কাওকে চেয়েছিলেন, যে অনেকটা তাঁর মতোই।
তিনি ‘নাদিন’কে দেখতে চেয়েছিলেন সঙ্গী হিসেবে! অর্থাৎ রোবট বন্ধু? রক্ত-মাংসের বন্ধুত্ব এবার পা বাড়িয়েছে ভার্চুয়াল জগতে। এবার কি তাহলে মানুষের বদলে বন্ধু হিসেবে রোবটের চাহিদাও তৈরি হবে অদূর ভবিষ্যতে?