দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরিয়তপুরের বড়াইল গ্রামে নাকি টিভি নিষিদ্ধ! ত্রিশ বছর ধরে টেলিভিশন-রেডিওসহ সব ধরনের প্রযুক্তি হতে বঞ্চিত ওই গ্রামের মানুষ।
বেশিরভাগ গ্রামবাসীর অভিযোগ, টেলিভিশন কিনলেও তা দেখতে পারেননা গ্রামের প্রভাশালী ব্যক্তি আব্দুল হাই মুন্সির কারণে। অবশ্য এই বিষয়ে আইনগত সহায়তার আশ্বস দিয়েছেন জেলাপ্রশাসন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, টেলিভিশন দেখলে ইমান নষ্ট হয় এই অজুহাতে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম টেলিভিশন, রেডিও এমনকি যেকোন ধরণের সাউন্ড সিস্টেম শোনাও নিষেধ শরিয়তপুরের তুলাষাড় ইউনিয়নের এই বড়াইল গ্রামে।
গ্রামের আড়াই হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগেরই অভিযোগ হলো, প্রভাবশালী আব্দুল হাই মুন্সির দাপটে প্রযুক্তিগত বিনোদন আনা যায়না এই গ্রামে। এলাকাবাসীরা বলেছেন, টিভি না দেখার কারণে আমরা কিছুই দেখিনা, কিছুই জানতে পারিনা, আাব্দুল হাই মুন্সি বলেন টেলিভিশন দেখলে ছোট বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যাবে!
শুধু তাই নয়, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টেলিভিশন কিনলে তা ভেঙ্গে ফেলেন আব্দুল হাই মুন্সী। দেশ-বিদেশের খবর জানতে পাশের গ্রামে গেলেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের মানুষরা।
তবে আব্দুল হাই মুন্সি বলেছেন, ‘এটা তার একার সিদ্ধান্ত নয়, গ্রামবাসীর কল্যাণে করা এই নিয়ম যে কেও পরিবর্তন করতে পারেন, আমি কাওকে বাধা দিবো না- কখনও দেইও নাই।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘এলাকাবাসী যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে বড়াইল গ্রামে তামিমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও একটি কবর স্থান নির্মাণ করেন আব্দুল হাই মুন্সী। সেই থেকে ওই গ্রামে টেলিভিশন দেখা নিষিদ্ধ করেন আব্দুল হাই মুন্সী।