দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ভালো মতোই জানি ব্যাংক সুদ দেয় এবং নেয়। কিন্তু এবার শোনা গেলো এক ব্যতিক্রমি কথা। ব্যাংক নাকি সুদ নিবে- কিন্তু দিবে না!
আমরা সবাই জানি ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সেখান থেকে সুদ পাওয়া যায় অর্থাৎ জমানো টাকার উপর সুদ দেওয়া হয়। কিন্তু জাপান সরকার ঠিক এর উল্টো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাপান সরকার বলেছে, এখন হতে ব্যাংকে অর্থ রাখলে সেখান থেকে অর্থ কাটা যাবে। অর্থাৎ অর্থ রাখার জন্য উল্টো ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিতে হবে! যদি অর্থ জমা থাকে, তাহলে জাপানের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিকট হতে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ০.১ শতাংশ হারে অর্থ নেবে।
ব্যাংকগুলো যাতে বেশি করে ঋণ দিতে বাধ্য হয় সেজন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান সরকার।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এ ধরনের পদক্ষেপ ইতিপূর্বে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও গ্রহণ করে। তবে জাপানে এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম। বর্তমানে জাপানে মূল্যস্ফীতির হার খুবই কম। সে কারণে জাপানের নাগরিকরা সেই অর্থ খরচ কিংবা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে জমা রাখছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের উপর যদি সুদ না দিয়ে উল্টো অর্থ কেটে রাখা হয়, তাহলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বেশি করে ঋণ দিতে উৎসাহিত হবে। যে কারণে জনগণ ব্যাংকে অর্থ জমা না রেখে আরও বেশি করে খরচ করবে। আবার বিনিয়োগও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ রাখা। তবে জাপানে অর্থ খরচ করার প্রবণতা সাম্প্রতিক সময় কমে গেছে। যে কারণে জিনিষপত্রের দামও সেদেশে অনেক কম। এই প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো কোনো খবর নয়।
উল্লেখ্য, এই ঋণাত্মক সুদের হার নির্ধারণ কতোটা কাজে দেবে সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ঋণাত্মক সুদের হার হচ্ছে সর্বশেষ পন্থা বলে মনে করেন টোকিও’র ফুজিতসু ইন্সটিটিউটের মার্টিন স্কালজ।