দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কিশোরী এবার সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এর কারণ হলো ভারতের ওই মুসলিম কিশোরী রামায়ণ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকে ‘রামায়ণ’-এর উপর একটি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছে সেখানকার এক মুসলিম কিশোরী। ফাতিমা রাহিলা নামে কর্নাটকের পুত্তুর জেলার নবম শ্রেণীর ওই মুসলিম ছাত্রী ‘রামায়ণ’ বিষয়ক পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর তুলে তার সহপাঠী হিন্দু পরীক্ষার্থীদেরকে পেছনে ফেলে দেন।
গত বছরে নভেম্বরে ওই পরীক্ষাটি নিয়েছিল ভারত সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান। কর্নাটক-কেরালা সীমানার ছোট্ট একটি গ্রামের এই কিশোরীও সেই পরীক্ষায় বসেছিল অন্য পাঁচজনের মতো। তবে সাড়া জাগানো ফলাফল করার সুবাদে এখন তার নাম ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ফাতিমার বাবা ইব্রাহিম একটি কারখানার শ্রমিক। মা গৃহকাজ করে সংসার চালান। কর্ণাটক-কেরালা সীমান্তবর্তী সার্ভোদায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিমা রামায়ণ এবং মহাভারতের ওপর পড়াশুনা করতে চায়।
তার বাবা ইব্রাহিম বলেছেন, ফাতিমার চাচাও এই বিষয়টা পছন্দ করেন। ফাতিমার মা-বাবার বিশ্বাস, তাদের মেয়ে পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করবেই।
ফাতিমার পরিবার বলেছে, নবম শ্রেণীতে ওঠার পর হিন্দু সাহিত্যের ওপর ফাতিমার বেশ আগ্রহ জন্মে। ফাতিমা বলেন, ‘বছরের শুরু হতে আমি আমার চাচার সহায়তায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। আমি শুধু রামায়ণ নয়, মহাভারত পরীক্ষায়ও অংশ নিতে চাই। ওই স্কুল হতে ৩৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। নিয়মানুযায়ী শুধুমাত্র নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাই ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। ফাতিমার এই ফলাফল তার সহপাঠী হিন্দু শিক্ষার্থীদের বিব্রত করেছে। কারণ নিজ ধর্মের প্রতি তারা কতখানী শ্রদ্ধাশীল তা এই ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে।
ফাতিমা মনে করে, জানার ইচ্ছা সকলের থাকা উচিত। জানার ইচ্ছা মানুষকে অনেক বড় ও মহৎ করে।