দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেট আমাদের এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে যে, এর থেকে আমাদের কোনো পরিত্রাণ নেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, বিরতিহীনভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি!
ইন্টারনেট ব্যবহার বর্তমান সময়ে এতোটায় বেড়েছে যে, ভাত-মাছের মতোই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের বদৌলতে অনেক সুযোগ সুবিধা বেড়েছে সেটি অনস্বীকার্য। কিন্তু সবকিছুর একটি মাত্রা থাকা উচিত। অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ সেটি আমাদের জানা। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও ঘটছে একই ঘটনা। আমরা অতিরিক্ত বা বিরতিহীনভাবে ব্যবহার করছি ইন্টারনেট। যে কারণে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
আমাদের মধ্যে বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা অনেক বেশি। আর এই বয়সীরা একটানা ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেমন অনেকেই ব্যথায় ঘাড় ঘোরাতে পারে না। ব্যথা পিঠের ওপরের অংশেও দেখা যায় অনেক সময়। আবার কারও কারও হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এই ব্যথা। অনেকের ক্ষেত্রে হাত ঝিনঝিন কিংবা অবস ভাব অনুভূত হয়ে থাকে। হাতে কম শক্তি পাওয়া যায়। যাদের কোমরে ব্যথার উপসর্গ হয় তাদের বেশির ভাগ দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে বসে থাকার পর উঠতে গেলে কোমরের মাংশপেশিতে টান লাগে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে যেটি ঘটে তা হলো, দীর্ঘক্ষণউপুড় হয়ে শুয়ে ল্যাপটপ বা মোবাইলে ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার কারণে ওঠার সময় বিছানা হতে উঠতে কষ্ট হয়। আবার তীব্র ব্যথাও অনুভূত হয়।
এসব সমস্যার সমাধান করতে হলে সকলকেই একটু সচেনতা বা অসর্তকতা অবলম্বন করা দরকার। টানা বেশিক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরের সমস্যা এড়িয়ে চলতে চাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার কিংবা কম্পিউটার-ল্যাপটপের ব্যবহারের মাত্রা কমাতে হবে।
যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি:
# একটানা আধা ঘন্টার বেশি সময় বসে-শুয়ে কম্পিউটিং কিংবা ব্রাউজ হতে বিরত থাকুন।
# কাজ করতে করতে ১০/১৫ মিনিট করে বিশ্রাম নিয়ে নিন। একটু হাটাহাটি করুন। তারপর আবার কাজে বসুন।
# দীর্ঘক্ষণ উপুড় হয়ে শুয়ে বই পড়া বা ল্যাপটপ চালাবেন না।
# কম্পিউপটারে কাজের সময় কম্পিউটারের মনিটর চোখের লেভেলে রাখুন, যাতে করে আপনাকে সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করতে না হয়।
# বসার চেয়ার বা টেবিলের উচ্চতা এমন রাখতে হবে, যাতে করে আপনি সোজা হয়ে কোমরের পেছনে সার্পোট থাকা অবস্থায় বসে কম্পিউটার চালাতে পারেন।
# ঘাড় ও কোমরের মাংপেশির শক্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যয়াম করুন।