দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরব এবারই প্রথম বিদেশ হতে ঋণ চাইলো। তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজেট ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা গোষ্ঠির কাছে ঋণ চাইলো তেল সম্পদে সমৃদ্ধশালী এই রাষ্ট্রটি!
সৌদি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। যদিও চিঠিতে কি পরিমাণ অর্থ চাওয়া হয়েছে সেবিষয়ে জানানো হয়নি। গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপিডেন্টের সূত্র বলছে এই ঋণের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি হতে পারে।
ঋণের ব্যাপারে সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো তথ্য দেয়নি তারা। সৌদিআরবের এই ঋণ চাওয়া স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় দেশীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সৌদি আরব ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সৌদি সরকার ইতিমধ্যেই আভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে। অবশ্য দেশের আভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর কারণ হলো সার্বিক তেলের দাম কমে যাওয়ার থেকেও গত বছরের উচ্চাকাঙক্ষী বাজেটই অনেকাংশে দায়ি। গত অর্থ বছরের ১০০ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাকাঙক্ষী বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই অর্থনৈতিকভাবে হোচট খাচ্ছিল এই দেশটি। সেই ঘাটতি বাজেট মোকাবেলা করার জন্যই মূলত স্থানীয় বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ৫ বছর দেশটি তার জনগণের জন্য পানি, বিদ্যুত, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে কোনো ভর্তুকি দেবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সৌদি রাজতন্ত্র ঐতিহাসিকভাবেই তার জনগণের জন্য তেলের মূল কম ধরতো এতদিন যাবত। তবে চলতি অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে সেই ঐতিহ্য হতে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে এই দেশটি।