দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই ওয়াইফাই ব্যবহার করি। কিন্তু এই ওয়াইফাই মাঝে মধ্যেই হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে। ওয়াইফাইয়ের হ্যাকিং হতে বাঁচার ৩টি উপায় জেনে নিন।
আমরা জানি হ্যাকিং হয়ে যাওয়া কিংবা হ্যাকার এখন একটি আলোচিত ও সমালোচিত বিষয়। তবে ব্যক্তিগত হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার বেশির ভাগ কারণ থাকে ব্যবহারকারীর অসতর্কতা। একটু সতর্ক হলে এটি হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে ওয়াইফাই ব্যবহার খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারী হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে থাকে সবচেয়ে বেশি। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করতে তার সিস্টেমে যেসব ফাঁক খুঁজে তা একবার পেয়ে গেলেই ক্ষতি করতে পারে।
এই কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হ্যাকিংয়ের সফটওয়্যারটি হলো ‘প্যাকেট স্নিফিং’। ‘প্যাকেট স্নিফিং’ এমন একটি সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর সেন্ড কিংবা রিসিভ করা ডাটাতে প্রবেশ করার অ্যাকসেস দেয় হ্যাকারদের। নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। বাড়তি কিছু কাজ করে হ্যাকাররা একইভাবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওয়াইফাই হ্যাক করে।
যেভাবে সুরক্ষিত থাকা যায়:
ওয়াইফাই ব্যবহারে কোনো টুলসই শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় না। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়টি একটু শক্ত করা সম্ভব।
ভিপিএনের ব্যবহার:
ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক কিংবা ভিপিএন হচ্ছে এমন একটি প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, যেটি পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রিমোট সাইট কিংবা ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাজারে হাজারো ভিপিএন কোম্পানি রয়েছে। একটু চিন্তাভাবনা করে নিজের পছন্দসই ভিপিএন ব্যবহার করলে অনেকটা কাজে আসে। ভিপিএন ব্যবহার গোয়েন্দাগিরিকে একটু কঠিন করে ফেলে।
টর ব্যবহার:
‘টর’ হচ্ছে অনলাইনে যোগাযোগ করার মুক্ত মাধ্যম। ইন্টারনেট ব্রাউজারের সাহায্যে টর ব্যবহার করা সম্ভব। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, গবেষণা এবং অনলাইন নিরাপত্তার টুলসগুলো আপডেট করা। টর ব্যবহারের কারণে ব্যবহারকারীর পরিচয় অনায়াসেই গোপনে রেখেই তার কাজ সে সম্পাদন করে। যে কারণে ব্যবহারকারীর ঠিকানা চিহ্নিত করা যায় না। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, টর ব্যবহারকারীর পৃথকভাবে ভিপিএন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
https সাইটে যাওয়া:
সাধারণতভাবে ইন্টারনেটে আদান প্রদান করা বেশির ভাগ তথ্যই থাকে এনক্রিপ্ট করা। https://ঠিকানা এভাবে ব্রাউজ করলে প্যাকেট স্নিফিং দ্বারা এনক্রিপ্ট করা ডাটা দেখতে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
কারণ হলো https:// ব্যবহারের কারণে ডাটা সেন্ড করা হয় মেশিন ল্যাংগুয়েজে। শুধু সার্ভার ও রিসিভারই এর অর্থ উদঘাটন করতে পারে। যদিওবা তৃতীয়পক্ষ মাঝপথে অ্যাকসেস করতে পারে, তবুও তার পক্ষে বুঝতে পারা সম্ভব হয় ঠিক কী ডাটা সেন্ড করা হচ্ছে ও এর অর্থ কী। এভাবে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।