দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা চিড়িয়াখানায় অনেক জীব-জন্তু দেখেছি। তবে এমন কথা কখনও শুনিনি যে খাঁচায় বন্দি থাকার কারণে এমন রোগাক্রান্ত হতে পারে। খাঁচাবন্দি জীবজন্তুগুলো অনাহারে ‘মমি’-তে পরিণত হয়েছে!
পশুপ্রেমী সংগঠনের এক সদস্য অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এটিই বিশ্বের নিকৃষ্টতম চিড়িয়াখানা। হামাস জঙ্গি শাসিত গাজা ভূখণ্ডে চিড়িয়াখানাগুলির উপরে নজরদারি চালানোর মতো কোনও সরকারি দফতর কিংবা সংস্থা নেই।
বলা হয়েছে, ওই চিড়িয়াখানায় প্রাণ গিয়েছে খাঁচায়বন্দি অবোলা শ’খানেক প্রাণীর। মৃত্যুর পরেও তাদের শান্তি নেই। যেখানে যে প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে পড়ে থেকে থেকে কার্যত এক সময় মমির চেহারা নিয়েছে মৃতদেহগুলি। ঘটনাস্থল হলো গাজার ইউনিস খান চিড়িয়াখানা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০০৭ সালে মহম্মদ আওয়াইদা নামে এক ধনী ব্যক্তি গাজায় প্রচুর অর্থ খরচ করে এই চিড়িয়াখানাটি নির্মাণ করেন। একবছর পরেই ইসরায়েলি হামলার জেরে ওই চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। তিন সপ্তাহ ধরে সেই যুদ্ধ চলার সময়ে তিনি চিড়িয়াখানায় পৌঁছাতে পারেননি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আওয়াইদা। যে কারণে খাবারের অভাবে অনাহারে মৃত্যু হয় বেশ কিছ প্রাণীর।
২০১৪ সালেও আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় ৮০টি প্রাণীর অনাহারে মৃত্যু হয়। মাত্র ২০টি প্রাণী কোনওমতে বেঁচে যায়। অবশ্য সম্প্রতি চিড়িয়াখানায় গিয়ে পশুপ্রেমী সংগঠনের কিছু সদস্য জীবিত প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছেন। তারা মৃত পশুগুলোর বিবরণ তুলে ধরেছেন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।