দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৭০ বছর বয়সী ‘জিন্দাবাবা’ তিন দিন স্বেচ্ছায় কবরে! এক সপ্তাহ আগে এই ‘জিন্দাবাবা’ এসে উপস্থিত হন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নয়াপাথারিয়া গ্রামে।
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুরে ভেসে বেড়িয়েছেন তিনি। ওই গ্রামে তো বটেই আশপাশের গ্রামের মানুষও এই বৃদ্ধকে দেখতে আসেন। গত রবিবার দুপুর থেকে ওই বৃদ্ধ স্বেচ্ছায় কবরে অবস্থান নেন। তিনদিন পর তিনি কবর থেকে উঠেন। ওই বৃদ্ধের নাম জিতু মিয়া। তবে গ্রামের সবাই তাঁকে ‘জিন্দাবাবা’ নামেই চেনেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, নয়াপাথারিয়া গ্রামের এক পুকুরপাড়ে দুপুর আড়াইটার দিকে কবরে প্রবেশ করেন জিতু মিয়া। তাঁর সঙ্গে দেওয়া হয় ৩০০ গ্রাম আঙ্গুর ও একটি বিস্কুটের ‘বৈয়াম’। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তাঁকে কবর হতে ওঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
কবরে এবারই প্রথম নন! জিতু মিয়ার দাবি, এর আগেও তিনি একাধিকবার কবরে অবস্থান করেছেন। তিনি জানান যে, গত ৪৫ বছর ধরে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে মাজারে ‘সাধনা’ করে চলেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীস্থ মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। স্বপ্নের মাধ্যমে মাহবুব রাজার নিকট হতে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষায় ‘চিল্লা’ মানে হচ্ছে কবরে প্রবেশ করা ।
জিতু মিয়া বলেছেন, ‘এর পূর্বে ১১ বার আমি ‘চিল্লা’য় গিয়েছি। এটাই আমার শেষ চিল্লা।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় কবরে যাচ্ছি। আমি আগেও বহুবার গিয়েছি। যদি কোথাও লিখে বলতে হয় আমি তাও রাজি রয়েছি। আমি যদি মারাও যাই তবুও কেও দায়ী নয়। আমার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার।’
চাঞ্চল্যকর এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর নয়াপাথারিয়া গ্রামে নেমেছে মানুষের ঢল। কেও আনছে টাকা, কেওবা খাবার। সবই ‘জিন্দাবাবা’র জন্য। ‘জিন্দাবাবা’ও দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। তবুর মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে, আসলে এই ‘জিন্দাবাবা’ কে? তাঁর ক্ষমতায় বা কী? তিনি কী কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী?
দেখুন এনটিভির প্রচারিত ভিডিওটি