দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতো দিন গড়াচ্ছে ততোই যেনো মানবিকতা উঠে যাচ্ছে। রাত পোহালেই লাশের খবর। টিভি খুললেই বিভৎস-নির্মমতার দৃশ্য। কিন্তু আর কতো দিন? আর কতো লাশ আমাদের দেখতে হবে?
তুলনা করতে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান খারাপ নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু আমাদের দেশে কেনো এমন ঘটনা ঘটবে? রক্ত দিয়ে যে দেশের সাধারণ মানুষ এই দেশটিকে স্বাধীন করেছিল সেই দেশে কী এতো হিংসা-হানাহানি থাকতে পারে?
আজ পত্রিকা খুললেই লাশের ছবি। টিভি খুললেই বিভৎস-নির্মমার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে পর্দায়। কেনো এমন হচ্ছে? এর কারণ কী? এগুলো আগে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার সমুন্বত রাখা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব যেমন সরকারের তেমনি আমাদের সাধারণ মানুষের ওপরেও পড়ে। কারণ আমরা দেশের বাইরের কেও নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কতোগুলো খুন হয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। কলেজ ছাত্রী তনু থেকে শুরু করে ঘটে চলেছে একের পর এক খুনের ঘটনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক কারারক্ষী, সাবেক মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়সহ এমন অনেকগুলো ঘটনা জাতিকে নাড়া দিয়েছে।
যে সাংবাদিকরা জাতির বিবেক সেই সাংবাদিক সাগর-রুনির খুনিরা এখনও দাপটে আত্মগোপন করে আছে। হয়তো আমাদের সামনে দিয়েই ওইসব খুনিরা আস্ফালন করে বেড়াচ্ছে! অথচ তাদের আমরা চিনতেও পারছি না।
সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর দিনের পর দিন বিক্ষোভ হয়েছে, প্রতিবাদ হয়েছে দেশজুড়ে কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এখনও খুনিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
এক একটি ঘটনার পর কোনো বিচার না হওয়া কিংবা প্রকৃত খুনিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় আবারও ঘটছে সেই একই ঘটনা। জঙ্গীরা যেমন সক্রিয় হতে পারছে, তেমনি এই সুযোগে সুযোগ সন্ধানীরাও এর ফায়দা লুটছে। এটি হতে পারে না। এর একটা বিহীত করা দরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় বড় ঘটনা আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হবে। যা আমাদের কারই কাম্য হতে পারে না।
তাই খুনিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে এর মাসুল আমাদেরই গুণতে হবে। সময় থাকতে সঠিক কাজটি করতে না পারলে আমাদের সত্যিই পস্তাতে হবে। আসুন সবাই আমরা সোচ্চার হই, সচেতনতা তৈরিতে কাজ করি সবাই মিলে। তাহলে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র এই বাংলাদেশ সত্যিই বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।