দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জোটে না সেইসব নিরন্ন মানুষকে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ান এক বাবা। আর তাই তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে‘বিরিয়ানি বাবা’। আজ রয়েছে সেই ‘বিরিয়ানি বাবা’র গল্প।
যাদের দু-বেলা দু-মুঠো ভাত জোটে না , তারা আবার খাবে বিরিয়ানি! এ কথা শুনে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন। কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। নিরন্ন এসব মানুষের কখনও বিরিয়ানি জুটবে না, সেকথা ভেবেই গত ৪০ বছর ধরে নিরন্ন মানুষকে বিরিয়ানি খাওয়ায়ে আসছেন ‘বিরিয়ানি বাবা’।
এই ‘বিরিয়ানি বাবা’র প্রকৃত নাম আতাউল্লাহ শরিফ শাতাজ খাদিরি। তবে লোকমুখে সে নাম বদলে অনেক আগেই হয়ে গেছে ‘বিরিয়ানি বাবা’। তিনি নিজেও সে কথা মনে করতে পারেন না। ৭৯ বছরের এই বৃদ্ধ গত ৪০ বছর ধরে গরীব মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে আসছেন।
তবে সে অন্নও, সাধারণ ডাল-ভাত নয়, প্রতিদিন চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ান দু:স্থদের। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা এই ‘বিরিয়ানি বাবা’ চিমালাপাড়ু দরগার লঙ্গর খানায় প্রতিদিন বিরিয়ানির ভোজ দেন। গড়ে প্রতিদিন অন্তত হাজারেরও বেশি মানুষের অন্ন সংস্থান হয় এখান থেকে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় ৮ হতে ১০ হাজারে!
জানা গেছে, প্রতিদিন ২ টন বাসমতি চাল, খাঁটি ঘি’র সঙ্গে কয়েক কুইন্টাল চিকেন এবং মাটন দিয়ে তৈরি হয় এই বিরিয়ানি। নিরামিশাষীদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা। যে কোনও ধর্মের, যে কোনও জাতের দু:স্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে বড়ই খুশি ‘বিরিয়ানি বাবা’ ওরফে আতাউল্লাহ শরিফ শাতাজ খাদিরি।