দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুরগীর মাংস পছন্দ করেন না এমন মানুষ সত্যিই খুঁজে পাওয়া যাবে না। চিকেন পোলাও, চিকেন ফ্রাই, চিকেন বার্গার ছাড়াও চিকেন দিয়ে কত কিছু যে খাওয়া হয় তার হিসাব নেই। কিন্তু একটি মাংস উৎপাদনকারি মুরগী জন্মের পর থেকে কিভাবে যে বেড়ে উঠে সেটা আমরা তেমন কেউ জানি না।
ছোট মুরগি হাজার হাজার সংখ্যায় সংরক্ষিত হয় এবং তাদের জন্মের দিন থেকেই যন্ত্রণা দেত্তয়া হয়। যদি কোন মুরগির ওজন কম হয় বা দুর্বল হয় তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়। কিছু কর্মচারীরা শিশু মুরগিদের মাথা কেটে ফেলে। সেগুলোকে আবর্জনার সাথে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকসময় মুরগি গুলো তখন বেঁচে থাকে।ওজনে ও মাপে সঠিক মুরগি গুলোকে একটি কনভেয়ার বেল্টের উপর রাখা হয়। তাদের নৃশংসভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
ভ্যাকসিন লাগানো হয়ে গেলে প্রীতিটি মুরগিকে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় যা তাদের আবার কনভেয়ার বেল্টে পৌঁছে দেয়। তারপর একটি বড় প্লাস্টিক ট্রের মধ্যে ৫০-১০০ মুরগি বস্তাবন্দী করা হয়। তারপর তাদের বিভিন্ন ফার্মে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বড় করা জন্য। যখন তাদের বিভিন্ন ফার্ম ও ব্যাবসায়িক সংস্থার পাঠানো হয় তখন তাদের এইভাবে সংরক্ষিত করা হয়।
ফার্মগুলিতে মুরগির ওপর হরমোন প্রয়োগ করে ৪০ দিনের মধ্যে তাদের বড় করে দেওয়া হয়। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক বড় আকৃতিতে চলে আসে মুরগিগুলি। সেই সমপরিমান হরমোন যদি কোনও মানব শিশুর ওপর প্রয়োগ করা হয় তবে সেই শিশুর ওজন ২ মাসে দাঁড়াবে ২৭ কেজি হয়ে যাবে।