দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাসপোর্টের মেয়াদের ক্ষেত্রে ৫ এবং ১০ বছরউভয় ধরনের ব্যবস্থা রেখে পাসপোর্টের মেয়াদ, পাতা এবং ফি বাড়ানো হচ্ছে।
১০ বছরের পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ৪ হাজার টাকা এবং জরুরি ফি ৭ হাজার করার কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ফি সাড়ে ৫ হাজার ও ১১ হাজার টাকা নির্ধারণের মত দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে মন্ত্রীসভায় পাঠানোর জন্য তৈরি করা এক সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে যে, বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং পাসপোর্টসেবা কার্যক্রম সহজতর, যুগোপযোগী করার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ এবং পাতার সংখ্যাও বাড়ানো দরকার। এছাড়াও এ-সংক্রান্ত পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ এবং পুননির্ধারণ করা প্রয়োজন বলেও সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, পাসপোর্ট রুলস ১৯৭৪-এর ৫৯১-০ অনুচ্ছেদে পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাসপোর্টের মেয়াদ ও নবায়ন উভয় ক্ষেত্রেই ৫ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এই আইনে বলা হয়েছিল পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করতে হলে বিধি সংশোধন করতে হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বর্তমানে দেশে দুই ধরনের পাসপোর্ট দেওয়া হয়। একটি হলো জরুরি, অন্যটি সাধারণ পাসপোর্ট। এইসব প্রতিটি পাসপোর্টের বই ৪৮ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। জরুরি পাসপোর্টের বর্তমান ফি ৬ হাজার টাকা, এর সঙ্গে ভ্যাট দিতে হয় আরও ৯০০ টাকা। সাধারণ পাসপোর্টের ফি এর অর্ধেক অর্থাৎ ৩ হাজার টাকা আর ভ্যাট সাড়ে ৪শ’ টাকা। পাসপোর্টের যেকোনো ধরনের পরিবর্তন সংশোধনের জন্য ৩০০ টাকা করে ফি লাগে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাংলাদেশী শ্রমিক-অধ্যুষিত দেশগুলোর দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য অবিলম্বে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে একটি আধা সরকারি পত্রও (ডিও লেটার) দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
এদিকে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বইয়ের পাতার সংখ্যা ৪৮ রাখতে হবে। কারণ, বর্তমানে এমআরপি বই সরবরাহের জন্য একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার চুক্তিবদ্ধ। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বইয়ের পাতা বাড়ানো সম্ভব হবে না। তাছাড়া কয়েক লাখ ছাপা হওয়া বই মজুত রয়েছে। পাতা বাড়ালে সেসব বই অব্যবহৃত থেকে যাবে।