দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে লাঠি দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে চিপা দিয়ে নিচে নামছি। অনেক চিৎকার করেছি কেও শুনতে পায়নি।
সাভার রানা প্লাজা থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ডাক কেও শোনেননি তবে বাইরের সবকছুই শোনা যাচ্ছিল। গত ১৫ দিন অল্প অল্প করে শুকনো খাবার ও পানি খেয়ে বেঁচে ছিলাম। কিন্তু গত দুদিন ধরে খাবার শেষ হয়ে যায়। গতকাল যখন ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছিল তখনও শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সঙ্গে এর বেশি কথা বলা সম্ভব হয়নি। গতকাল রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ১৭ দিন পর অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার হওয়ার পর রেশমা বেগম সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ১০ মে বিকাল সাড়ে ৪টা ২৮ মিনিটে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের মেয়ে রেশমাকে বিস্ময়করভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে। চিকিৎসকদের কাছে রেশমা জানিয়েছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে তার কষ্ট হচ্ছে।
গরমে ফোসকা পড়েছে শরীরে
সিএমএইচ এর চিকিৎসক জানান, না খেতে পেয়ে রেশমার শরীরে পানি শূন্যতায় রগ শুকিয়ে গেছে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে তার শরীরের বিভিন্নাংশে ফোসকা পড়ে চামড়া সরে গেছে। তাকে উদ্ধারের পরই হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে লোশন দেওয়া হয়। তা ছাড়া তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয় এবং স্যালাইন পুশ করা হয়। অতিরিক্ত দুর্বল কাটতে স্যালাইনে গ্লুকোজ, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও ডেকাসন ইনজেকশন দেওয়া হয়। এ সময় দুর্বলতার কারণে স্যালাইন চলার শুরুতে রেশমার শরীরে ঝাঁকুনি হয়। প্রায় আধঘণ্টা স্যালাইন শরীরে প্রবেশের পর রেশমা স্বাভাবিক সুস্থতা ফিরে পায়। তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে বোন আসমা এবং তার মা হাসপাতালে রেশমার সঙ্গে রয়েছেন।