দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম আজ রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। যেসব সিম নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো কাল ১ জুন হতে বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব সিম আবার চালু করতে চাইলে একজন গ্রাহককে গুনতে হবে ১৫০ হতে ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করার জরিমানা হিসেবে ব্যবহারকারীদের বাড়তি এই অর্থ দিতে হবে। তবে আগের কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। আগে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ছিল, ১ জুন হতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো আগামী ২ মাস পর্যন্ত জব্দ (ফ্রিজ) অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী আগামী ২ মাস পর্যন্ত সেটি নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করার সুযোগ পাবেন না। ২ মাস সময় পার হওয়ার পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি আবার চালু করা যাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে আগের নিয়ম হতে সরে এসে বিটিআরসি এখন বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া যে কোনো সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য ২ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গতকাল (সোমবার) এই বিষয়টি মুঠোফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রাহক স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সিম নিবন্ধনের সময়সীমা ১ মাস বাড়ানো হয়। সময় বাড়ানোর পরও যারা সিম পুনর্নিবন্ধন করেননি, তাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কেবলমাত্র নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেই সিম চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্ধারিত নিয়মই প্রযোজ্য হবে।
বিটিআরসির নিয়ম হলো, একটি সিম একটানা ১৮ মাস কিংবা ৫৪০ দিন বন্ধ থাকলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকে না। এরমধ্যে ১৫ মাস কিংবা ৪৫০ দিন সময় পার হলে মুঠোফোন অপারেটররা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিষ্ক্রিয় সংযোগটি পরের (তিন মাস) ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করে। এভাবে মোট ১৮ মাস সময়ের মধ্যে সিমটি চালু করা না হলে সেটির মালিকানা বর্তমান ব্যবহারকারীর আর থাকে না। আগামীকাল (১ জুন) হতে বন্ধ হতে যাওয়া সংযোগের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বলা হয়েছে, বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সংযোগ কিনতে অপারেটর ভেদে ১৫০ হতে ২০০ টাকা দাম ধরা হয়েছে। সরকার সিম কর হিসেবে ১০০ টাকা পেয়ে থাকে। বাকি অর্থ সিমের মূল্য হিসেবে অপারেটররা নেয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। দেশে বর্তমানে মোট চালু থাকা সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। সেই হিসেবে অনুযায়ী গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ৭৯ শতাংশ চালু থাকা সিম নিবন্ধিত হয়েছে।