দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা মেলায় যায় পণ্য কিনতে। কিন্তু এমন এক স্থান রয়েছে যেখানে মেলায় গিয়ে পাওয়া যায় বউ!
আমরা এক সময় দেখেছি গ্রামীণ জনপদেও বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল মেলা। নানা রকম মেলা বসতো। বিশেষ করে বৈশাখ মাস কিংবা শীতের সময় আসলে মেলা বসতে দেখা যেতো। কিন্তু এখন আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে অকৃত্রিম ও জীবন্ত সেই মেলা অনেকাংশেই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এখন মানুষ মেলার যৌথ আনন্দকে ব্যক্তিগত প্রযুক্তির সুবিধায় আবদ্ধ করে ফেলেছে।
সেই মেলার এক অন্য রূপের কথা এবার শোনা গেলো। নববধূ অন্বেষণের মেলা। যুবকরা বউ কিনতে মেলায় যাচ্ছেন। অর্থাৎ বউ মেলা! হ্যাঁ, মেলা থেকে শুধু চুড়ি, আলতা আর তালপাতার বাঁশিই নয়, এবার কেনা যাবে সুন্দরী বউও!
ওই ব্যতিক্রমি মেলা হতে বউ এনে লিভ ইন করা যায়। পরে সময়মতো বা সুবিধামতো বিয়ে করলেই সমস্যা হয় না।
ভারতের রাজস্থানের জয়পুর জেলার নয়াবাস গ্রামে রয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন এই পরম্পরা বা মেলা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গ্রাসিয়া জনজাতির মানুষ বিশ্বাস করেন, জীবনে উপার্জন করতে হলে সন্তান হওয়া জরুরি। বিয়ের আগে যদি সন্তান প্রসব না হয়, তাহলে পরেও হবে না। এতে করে পরিবারে সুখ আসবে না। তাই পছন্দমতো পার্টনারের সঙ্গে আগেই লিভ ইন করে দেখে নেওয়া ভালো। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক আছে কিনা। তা না হলে পরে আফসোস করতে হবে!
জানা যায়, শুধুমাত্র যুবক যুবতিরাই নয়, কম বয়সী হতে বিধবা মহিলা, সকলেরই অধিকার রয়েছে পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার। সকলেরই অধিকার আছে লিভ ইন রিলেশনে থাকারও। সকলেরই অধিকার রয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো বিয়ে করার। যেমন ওই অঞ্চলের পাবুরা আর রুপালি। দীর্ঘদিন লিভ ইন করার পর, এই এতোদিনে তাদের মনে হয়েছে বিয়ে করার দরকার। তাই এবার বিয়ে করে ফেললেন ওরা। এতোটাই প্রগতিশীল এই গ্রাসিয়া জনজাতি। দেখে বোঝার উপায নাই যে, এরা ভারতেরই বাসিন্দা!