দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খানাপিনা ছাড়া মানুষ কী কখনও বাঁচতে পারে? কিন্তু এবার এমনই এক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে। যিনি খানাপিনা ছাড়াই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ৭৬টি বছর!
ভারতের গুজরাটের ‘মাতাজি’। প্রকৃত নাম প্রহ্লাদ ভাইজানি। দেবী আম্বার শিষ্য এই সাধু ৭৬ বছর ধরে বেঁচে রয়েছেন কিছু না খেয়েই! গল্প মনে হলেও ঘটনাটি আসলেও সত্যি। বহুবার নানারকমভাবে পরীক্ষা খুব ভালোভাবে উতরে গিয়েছেন এই ‘মাতাজি’ তথা সাধু প্রহ্লাদ ভাইজানি!
তিনি রাজস্থানে জন্মেছিলেন ১৯২৯ সালের ৭ অগাস্ট । মাত্র ৭ বছর বয়সেই হিন্দু ধর্মের তিন দেবীর আজ্ঞা অনুসারে নাকি তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনে সাধনায় লিপ্ত হন। তাঁর ভাষায়, ‘জঙ্গলের মাঝ দিয়ে আমাকে একশ হতে দুইশ কিলোমিটার রাস্তা হাটতে হয়েছে। আমি কখনই ঘামাই না। কোনো ক্ষুধা ও ঘুম বোধ করি না আমি। টানা তিন হতে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত আমি ধ্যান করতে পারি।’ বর্তমানে ৮৭ বছর বয়সেও দিব্যি রয়েছেন এই সাধু। শরীরে কোনও রোগ নেই তাঁর।
না খেয়ে বেঁচে থাকা এই সাধু প্রহ্লাদের রহস্য উদঘাটনের জন্য তাঁকে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৫ দিন ধরে টানা চব্বিশ ঘণ্টা ক্যামেরার নিচে রাখা হয়েছিল এই সাধুকে। সেই একই অবস্থায় বিজ্ঞানীদের নাকের ডগায় একে একে পনেরো দিন কেটে গেছে, তবুও কোনো খাবার গ্রহণ করলেন না সাধুজি। এমনকি তিনি প্রস্রাব বা পায়খানাও করেননি একবারের জন্যেও।
দেবী আম্বার আশীর্বাদ মাথার উপর থাকাই এই অসাধ্য সাধন করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন সাধু প্রহ্লাদ ভাইজানি!