দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা শুনে আপনিও বিস্মিত হবেন। কারণ হলো ৮ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস আর ১ বছরে মাস্টার্স পাস করা কি কারও পক্ষে সম্ভব?
তবে এই অসম্ভবটিও সম্ভব হয়েছে। ভারতের বিহারের শিক্ষাগত যোগ্যতার কেলেঙ্কারির ধারাবাহিকতায় এবার এমন একটি বড় অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দলের বিধায়কের ডিগ্রিও নাকি ভুয়া বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেডিইউর এই বিধায়কের নাম হলো ঊষা সিনহা। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান লালকেশ্বর প্রসাদ সিংয়ের স্ত্রীও।
শিক্ষাগত যোগ্যতার কেলেঙ্কারির তদন্ত দল ভারতের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (এসআইটি) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, ২০১০ সালে বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় ঊষাদেবীর দাখিল করা সবতথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই তথ্যে দেখা গেছে যে, ঊষাদেবীর জন্ম ১৯৬১ সালে। সেই হিসেবে ২০১০ সালে তার বয়স ছিলো ৪৯ বছর। তবে উত্তরপ্রদেশ এডুকেশন বোর্ড হতে ১৯৬৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন ঊষাদেবী! অর্থাৎ মাত্র ৮ বছর বয়সেই তিনি ম্যাট্রিক পাস করে ফেলেন!
কাহিনী এখানেই শেষ নয়। ঊষা সিনহা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, অযোধ্যা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৭৬ সালে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন ঊষা সিনহা। অথচ অযোধ্যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭৫ সালে। অর্থাৎ মাত্র ১ বছরেই মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন ঊষাদেবী! আরও আশ্চর্য হওয়ার বিষয় রয়েছে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই পিএইচডি শেষ করেন ঊষা সিনহা!
এসআইটির এই তথ্য ফাঁসের পর বিহারের শাসকদলের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।