দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনন্য ইমনের পরিচালনায় ঈদের বিশেষ নাটক ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ঈদের ৩য় দিন রাত ৭:৪০ মিনিটে প্রচারিত হবে চ্যানেল 9 এ।
কাহিনী সংক্ষেপ:
তাসফি আর মিরান্দার প্রথম দেখা মিনহাজ সাহেবের আপার্টমেন্টে একই ফ্ল্যাটে দুজনের ওঠা নিয়ে, দুজনি যথেষ্ট ম্যাচিউর, সোবার, আকর্ষণীয়, ম্যারিড, দুজনেই একই ফ্ল্যাট চয়েস করেছে। কেউ স্যাক্রিফাইস করতে রাজী নয়। পরিস্থিতি দেখে মিনহাজ সাহেব ভাড়া দিতেই নারাজ হওয়ায় তাসফি স্যাক্রিফাইস করলো। অবশেষে প্রায় শত্রুতার সম্পর্ক নিয়ে দুজন মুখোমুখি ফ্ল্যাটে উঠলো। ফ্ল্যাটে ওঠার পর মিনহাজ সাহেব দেখেন দুজনেই ব্যাচেলর, অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা দুজনি ব্যাচেলর? একথাতো আগে বলেন নি।
দুজনি বললো- তারা ব্যাচেলর না, দুজনেই সেপারেশনে আছে, ডিভোর্স করবো কি না ভাবছে। মিনহাজ সাহেব বিরক্ত হয়ে দুজনের হাজবেন্ড আর ওয়াইফের ফোন নাম্বার নিয়ে রাখলেন। আর কিইবা বলার আছে, যথেষ্ট বাসাভাড়া পাচ্ছেন। এদিকে ওরা দুজন পরষ্পরের একই রকম ঘটনায় যথেষ্ট অবাক। কিন্তু প্রতিবেশি হিসেবে দুজনের সম্পর্কের আর উন্নতি হলো না, এই নিয়ে-সেই নিয়ে দুজনের দ্বন্দ্ব চরমে। ইচ্ছে করেই দুজন দুজনকে ক্ষেপাবার-জব্দ করবার নানান আইডিয়া বের করে। অবশেষে মিনহাজ সাহেবের মধ্যস্থতায় শান্তি আসে। আবার এমন কোন প্রয়োজন হঠাৎ এসে দাঁড়ায় যে, দুজন দুজনের হেল্প নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না, আবার সন্ধিও হয় না। মিরান্দা জব খুঁজছিলো, ভাইভা ফেস করছিলো বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে জব হলো। কিন্তু ডেস্কে বসতে গিয়ে দেখে তার পাশের ডেস্কে বসে তাসফি। মাথা পুরোই খারাপ তার। পাঁচ বছরের এগ্রিমেন্ট হয়েছে, ছাড়ারও উপায় নেই। তারপর বাসা অফিস মিলে সংঘাত। এই সংঘাত শেষ হলো যখন অফিসে টানা মিরান্দা নেই, ফোন অফ। তাসফি মিনহাজ সাহেবের কাছ থেকে অলটারনেটিভ চাবি নিয়ে দরজা খুলে দেখে মিরান্দা জ্বরে সেন্সলেস হয়ে গেছে। তাসফি তাকে সুস্থ করে তুললো, তারপর থেকে দুজনের ফ্রেন্ডশীপ। মানে একসাথে ঘোরা, সময় দেয়া গল্প করা। কেন সেপারেশন সে নিয়ে আলাপ। তাসফি মিরান্দার হাজবেন্ডের পক্ষে কথা বলে, মিরান্দা বলে তাসফির ওয়াইফের পক্ষে। দুজনেই দুজনকে সাজেশন দেয় ফ্যামেলী ভাঙা উচিৎ না। এসব আলাপে কখন দুজন দুজনের গভীর বিশ্বস্ত হয়ে যায় দুজনি জানেনা। এদিকে দুজনের এই রিলেশনশীপ দেখে মিনহাজ সাহেবের চোখে সন্দেহ, তিনি মাঝে মধ্যেই দুজনকে বিভিন্ন ওয়ার্নিং দিয়ে যান। আজকাল দুজনি পরষ্পরকে নিয়ে যথেষ্ট সময় কাটায়। দুজনে আলাপ করে পারফেক্ট হাজবেন্ড-ওয়াইফের কি কি করা উচিৎ, একজন অবিশ্বাস করে, আরেকজন দেখিয়ে দেয়। আউটিংয়ে যায়, একসাথে রান্না করে, অফিসে যাতায়াত তো করেই। দুজনের দুজনকে যথেষ্ট ভালো লাগলেও দুজন তা প্রকাশ করে না। ব্যাপারটা মিনহাজ সাহেবের অসহ্য হয়ে গেলে তিনি দুজনকেই বলেন, হয় ডিভোর্সের ব্যাপারে একটা ডিসিশান নিতে হবে অথবা বাসা ছাড়তে হবে। দুজনি অনেক আলাপ করে। দুজনি ডিসিশান নেয় ফিরে যাওয়া উচিৎ। মিরান্দা জব ছেড়ে দেয়, চলে যায়, তাসফিও বাসায় চলে যায়। কিন্তু মিনহাজ সাহেব টু লেটের বিজ্ঞাপন ঝোলাতে গেলেই হঠাৎ দেখেন দুজনে হাজির।
দুজনেই বলে তারা বাসা ছাড়বে না। তাদের ডিসিশন নিতে আরও সময় লাগবে। মিনহাজ সাহেব শর্ত দেন তাহলে শর্ত অনুসারে চলতে হবে। দুজনে রাজী হয়। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে যে কথা তাদের হয় তাতে জানা যায়, ফিরে গিয়ে আবার আগের মত সিচুয়েশন হয়েছে, আসলে আগের বিয়ে ভুল ছিলো, তারা ডিভোর্স করবে। পাশপাশি এটাও স্বীকার করলো যে তারা দুজন দুজনের গভীর প্রেমে পড়ে গেছে। এর পর আর কি? দুজনের গভীর প্রেম শুরু হলো, ফিউচারের ফ্যামেলী নিয়ে স্বপ্ন, গিফট, বহুকিছু। কিন্তু মিনহাজ সাহেবের চোখ এড়ানো কঠিন। তিনি ভাবেন ব্যাপারটা তার হাতে নেই, সামাজিক দায় থেকে তার উচিৎ দুজনের
হাজবেন্ড ওয়াইফের কাছে ফোন করা। কারণ এরকম আনইথিক্যাল ব্যাপারকে প্রশ্রয় দেয়া ঠিক না। ফলে তিনি ফোন করে দুজনকে ডাকলেন। এরপর মিনহাজ সাহেবের ড্রয়িংরওমে তিনি তাসফি আর মিরান্দাকেও ডেকে পাঠালেন। কিন্তু অপেক্ষা করলেও দুজনের খবর নেই। মিনহাজ সাহেব তাসফির ওয়াইফকে ফোন দিতেই বেজে উঠলো মিরান্দার ফোন, তিনি অবাক। এরপর
মিরান্দার হাজবেন্ডকে ফোন দিতেই বেজে উঠলো তাসফির ফোন। তিনি আরও অবাক। মিরান্দা ও তাসফি তখন হাসছে। বলে আঙ্কেল স্যরি মাফ করবেন, আসলে আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ, দুজনে দুজনের উপর এত বোর হয়ে গিয়েছিলাম যে ডিভোর্সের ডিসিশনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। শেষপর্যন্ত ভাবলাম একটা শেষ চেষ্টা করে দেখা যাক। সেজন্যেই এসব করা, দেখা যাক অন্যরকম লাইফে আবার আগ্রহ ফিরে আসে কি না? তারা সাক্সেসফুল। এখন বাসায় ফিরে যাবে। সব শুনে মিনহাজ সাহেব হতভম্ব।
নাটক-টার্নিং পয়েন্ট
দেখবেন ঈদের ৩য় দিন রাত ৭:৪০ মিনিটে শুধুমাত্র চ্যানেল 9 এ
অভিনয়: ভাবনা, ইরফান সাজ্জাদ ও অনেকে ।
পরিচালনা: অনন্য ইমন
পরিবেশনা: দৃক।
প্রযোজনা: পি আর প্রডাকশন।