দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০১৬ খৃস্টাব্দ, ১৪ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ২২ রমজান ১৪৩৭ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ছবিতে যে পাখি দেখছেন সেই পাখিটি বাংলাদেশে ডাহুক বলেই পরিচিত। এই পাখি ছোট ছোট ডোবা-নালা, পানিভরা ধানক্ষেত, বিল-ঝিল, হাওর-বাঁওড়ের পাড় কিংবা পুকুর-দীঘি, খাল-বিল, নদীর পাড়েও এদের দেখা যায়।
এই পাখির ইংরেজি নাম : White Breasted Waterhen. আর বৈজ্ঞানিক নাম : Amaurornis phoenicurus.
এরা সারা বছর চুপচাপ থাকলেও বর্ষা মৌসুমে কুক্ কুক্ ডাকা-ডাকিতে চারপাশ মুখরিত করে তোলে। এদের গলার স্বরও অনেক চড়া। দুপুরে কিংবা গভীর রাতে এদের ডাক প্রায় ৫০০ মিটার দূর হতেও স্পষ্ট শোনা যায়। এরা বেশি ডাকে ভোররাতে, দুপুরে, শেষ গোধূলি এবং গভীর রাতে। আমরা ছোটবেলায় এদের ডাক অনেক শুনেছি। এখন মনে পড়ে সেসব ডাকের কথা।
ডাহুক স্ত্রী-পুরুষ দেখতে প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। এদের কপাল ধবধবে সাদা। মাথার চাঁদি, ঘাড়, পিঠ, ডানার উপরিভাগ ও লেজের উপরিভাগ কালো ধরনের। গলা-বুক-চিবুক-চোখের দু’পাশ ধবধবে সাদা। পেটের তলার শেষ প্রান্ত হতে লেজের তলার রঙ খয়েরি সিঁদুর রঙের। এদের লাল লেজ ও ডানার দু’প্রান্তে ওরা শিল্পিত ভঙ্গিতে কাঁপন তুলে নাচাতে থাকে, তখন দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ডানার নিচে, বুকের দু’পাশটা এদের কালো। এদের ঠোঁট হলুদ, তবে ঠোঁটের উপরিভাগের গোড়াটা লালচে। পা হলুদাভ লালচে-সবুজ ধরনের। পায়ের লম্বা ও ছোট আঙুলগুলোর রঙ একই রকম। চোখ কালো তবে বৃত্তটি লাল।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ডাহুক দেখা যায়। তবে সেই আগের মতো এদের খুব একটা চোখে পড়ে না। অর্থাৎ ক্রমেই এই সুন্দর পাখিটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এদের রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ছবি: foto-basa.com এর সৌজন্যে।