দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তারিন, হিল্লোল, স্নিগ্ধা মমিন, আলভী অভিনীত ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ছেঁড়া টান’ প্রচারিত হবে ঈদের দিন বিকাল ৫টায় দীপ্ত টিভিতে।
জিনাত হোসেন জুথির রচনায়, কৌশিক শংকর দাসের পরিচালনায় তারিন, হিল্লোল, স্নিগ্ধা মমিন, আলভী অভিনীত ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ছেঁড়া টান’ প্রচারিত হবে ঈদের দিন বিকাল ৫টায় দীপ্ত টিভিতে। পরিবেশনায়- দৃক এবং প্রযোজনায়- পি আর প্রডাকশন।
কাহিনী সংক্ষেপ:
সানাইয়ের সুর। মরিচ বাতির আলোয় সারা বাড়ি আলোকিত। বাচ্চারা তারাবাজি জ্বালাচ্ছে। ভিতরে সবার সীমাহীন ব্যস্ততা। যে যার সাজ নিয়ে ব্যস্ত। ব্যস্ত কনেকে সাজাতে। অহনারও অনেক মজা। তার সব কাজিন’রা এসেছে। তাদের সাথে অনেক মজা করেছে। নতুন জামা পড়েছে। তার মন অনেক ভাল। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে, কারণ অহনার মাকে খুব সুন্দর লাগছে আজকে। এত সুন্দর করে মা সেজেছে ! সিনেমার নায়িকাদেরও এত সুন্দর লাগে না। অহনার খুব ইচ্ছে করছে বাবাকে ডেকে মাকে একটু দেখাতে। কিন্তু নানুমনি কঠিন করে মানা করে দিয়েছেন। বাবাকে ডাকলে নানুমনি রাগ করবেন। কিন্তু এটাই অহনা বুঝতে পারছে না, মা যদি বউ সাজে বাবা না থাকলে বর কে হবে? বাবা নিশ্চয়ই আসবে। তাছাড়া বিয়ে কি করে হবে? হ্যা বর এসেছে, কিন্তু বাবা নয়, অন্য একটা লোক। অহনার লোক টাকে একটুও পছন্দ হয়নি। কিন্তু বর কেন বাবা না হয়ে এই লোকটি হল? অহনা ভেবে পায় না। অহনার মায়ের ব্যাগ গোছানো হচ্ছে। অহনা নিজে নিজে ওর ব্যাগ নেয়া শুরু করে। কিন্তু অহনাকে মা’র সাথে নেয়া হবে কি হবে না, এটা নিয়ে বিশাল আলোচনা। অহনা সব শুনতে পায়। মন খারাপ করে।
অহনাকে জিঞ্জেস করা হয়, সে যাবে কিনা। অহনা বলে, মাকে ছাড়া সে কি করে থাকবে? সিন্ধান্ত হল অহনা সাথে যাবে। সাথে যাবে তার খালামনিও। যেতে যেতে অহনার ফ্ল্যাশব্যাকে ভেসে আসে তার মায়ের প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। ঘটনার কেন্দ্রে অহনা। মা চাকুরী আর বাবা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। তাকে সময় দেবার সময় নেই। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি। একসময় আলাদা থাকা শুরু করে বাবা মা। অহনা মার সাথে যাচ্ছে। কিন্তুু ভিন্ন গাড়িতে। মা যাচ্ছে ঐ লোকটার সাথে। নতুন বাসায় গিয়েও অহনা মার সাথে বসে থাকে। এক সময় অহনাকে মায়ের রুম থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অহনা আবারও মার কাছে আসতে চায়। কিন্তু তার আগেই তার সামনে দরজা বন্ধ করে দেয় লোকটা। অহনা খালামনির পাশে ঘুমের ভান ধরে শুয়ে থাকে। তার কল্পনায় বাবা মা আর তার স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। অহনার চোখের পানি বাধে আটকে রাখতে পারে না। কাদতে কাদতেই ঘুমিয়ে যায়, ঘুম নেই অহনার মায়ের চোখে। আনন্দের দিনেও কান্নার স্রোত বয়ে যায়। অহনার নতুন বাবা বুঝতে পারে, একজন মায়ের কষ্ট। তিনি মা মেয়ের মাঝে বাধা হয়ে থাকেন না। ঘুমন্তু অহনাকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেন। অহনার ঘুম ভাঙ্গে। সে নিজেকে দেখে তার মায়ের কোলে।