দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্ব ২০১২ সালের ১৯ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এবারও তার সবচেয়ে প্রিয় স্থান ঢাকার অদূরে গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোরানখানি ও দোয়ার মাহফিল। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সংবাদ মাধ্যমকে জানান বিষয়টি।
মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন, তবে এবার থাকছে কিছুটা ভিন্নতা। এবারের দোয়া মাহফিলে অংশ নিচ্ছেন গাজীপুর এলাকার এতিমখানার প্রায় ৫শ’ শিশু-কিশোর। শাওন বলেছেন ঠিক এভাবে, ‘এদিন বাদ জোহর দোয়া-মাহফিলের পর আমরা হুমায়ূনকে স্মরণ করবো ও উপস্থিত সব এতিম শিশুদের হুমায়ূনের প্রিয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। ওপার থেকে সে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। ’
শাওন আরও বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদ তার বাবার জন্য যখন দোয়ার আয়োজন করতেন তখনও সব সময় নিজের প্রিয় খাবার এতিমদের নিজ হাতে খাওয়াতেন। এই কাজটি আমি এবার করতে চাই।
তিনি জানান, এদিন খাবার মেন্যুতে থাকছে হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার সাদা ভাত, গরুর মাংস, মাসকলাইয়ের ডাল ও ফিরনি।
স্মরণ অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদের বন্ধু, স্বজন, ভক্ত ও সমালোচকদেরও উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন মেহের আফরোজ শাওন।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায় ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে শুরু হয় তার কর্মজীবন। যদিও এখানে তিনি থাকেননি। শুধু ‘লেখক’ হবেন, এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘গৌরিপুর জংশন’ ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’- এমন অনেক সফল সাহিত্যস্রষ্টা তিনি। আজ হুমায়ূন আহমেদ নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর অজস্র স্মৃতি এবং লেখনী।