দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এরশাদ বদরুদ্দীন নামে ৩৬ বছর বয়সী এক ইমাম নিজের স্ত্রীকে নিয়ে পড়েছেন বড়ই বিপাকে। তার স্ত্রী হুমকি দিয়েছেন, দাড়ি না কাটলে আত্মহত্যা করবেন!
ইন্ডিয়া টাইম্স এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইমাম সাহেবের স্ত্রী সাহানা ভারতের হাপুর গ্রামের পিলখুয়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি বলিউড হিরো শাহরুখ ও সালমানের মতো ক্লিন শেভ করা পুরুষ পছন্দ করতেন।
ইমাম এরশাদ জানিয়েছেন, তার স্ত্রী তার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে সারাক্ষণ চ্যাট করেন। এবার তার স্ত্রী তাকে শর্ত দিয়েছেন তিনি যদি দাড়ি না কাটেন তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তিনি কাউন্সেলরের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন যেনো তার স্ত্রী কোনো রকম খারাপ পদক্ষেপ না নেন। কারণ হলো আত্মহত্যা করলে সে দোষ এরশাদের ঘাড়েই আসতে পারে।
কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে পরবর্তীতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন ও একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ‘আমি একজন ইমাম। মসজিদে নামাজ পড়ানো আমার গুরু দায়িত্ব। আমি মুসলিম ধর্মকে যথাযথভাবে অনুসরণ করি। ২০০১ সালে সাহানার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে। আমাদের ৪ জন সন্তানও রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর সাহানা আমায় বলে, আমার দাড়ি না রাখার জন্য। সে সালমান ও শাহরুখ খানের মতো ক্লিন শেভ করা পুরুষকে পছন্দ করে। এছাড়াও তার একটি স্মার্টফোন রয়েছে। সে দিনরাত পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলে বেড়ায়।’
এরশাদ আরও জানান তিনি তার স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়ে বলেছেন, একজন ইমামের অবশ্যই দাড়ি রাখতে হবে। তবে তার স্ত্রী সবসময় জেদ ধরে কঠোর থাকে। তিনি বারবার তার স্ত্রীকে কম করে ফোন ব্যবহার করার কথা বলেছেন। কারণ সে যদি সারাক্ষণ মোবাইল চালায় তাহলে তাদের বাচ্চাদের মাঝেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি তার আচার-আচরণে একেবারে পাগল হয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে আমি তাকে বকাবকি করার পর সে কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, আমাদের বাচ্চাদের বিষ খাইয়ে ও নাকি মেরে ফেলবে এবং নিজেও আত্মহত্যা করবে।’
গত ঈদের সময় ওয়েস্টার্ন পোশাকের জন্য তার স্ত্রী সাহানা জোরাজোরি করেছেন। এরপর তাকে নিষেধ করলে তিনি আবারও মৃত্যুর হুমকি দেন। ঈদের পরের দিন সাহানা নিজেকে একটি কক্ষে বন্ধ করে রাখেন। তারপর জানালা দিয়ে এরশাদ উঁকি মেরে দেখেন সাহানা ফ্যানের সঙ্গে নিজের গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরপর দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে এরশাদের করা মামলা গ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট দীনেশ চন্দ্রের অধীনে রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা অত্র এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।