দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো রাজ্যে মুসলিম ধর্মীয় নেতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরোধিতার জন্য একটি ‘চলচ্চিত্র পল্লী’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সেদেশের সরকার।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, অনেকটা হলিউডের অনুকরণে নাইজেরিয়ার হাউসা ভাষার চলচ্চিত্রশিল্পকে বলা হয় ‘কানিউড’ নামে। ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে তাদের জন্যই একটি অত্যাধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাণকেন্ত্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলো সরকার। নাইজেরিয়া সরকারের যুক্তি ছিলো ঠিক এমন, এতে কর্মসংস্থান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিকাশ ঘটবে।
মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বলেছেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ‘অনৈতিকতা’ বাড়িয়ে দেবে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ প্রকল্প বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
স্থানীয় লোকদের যুক্তি হলো, এটা কোনো আবশ্যিক প্রকল্প নয়, বরং সরকারের উচিত কৃষি উন্নতির জন্য ওই এলাকায় বাঁধ প্রকল্পর কাজে হাত দেওয়া।
চারিদিকে এমন প্রতিক্রিয়ার পর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা বলেন, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তারা ‘কানিউড প্রকল্প’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার একজন অভিনেতা ও পরিচালক আলি নুহু বলেছেন, তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন।
নাইজেরিয়ায় চলচ্চিত্র শিল্প অবশ্য গত ২০ বছর ধরেই রক্ষণশীল মুসলিম সমাজের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাদের অভিযোগ হলো, সে কারণে তরুণী মেয়েরা অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাবার উৎসাহ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার উত্তরে হাউসা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রই মূলত মুসলিম-প্রধান উত্তর নাইজেরিয়ায় দেখানো হয়ে থাকে। অপরদিকে দক্ষিণ নাইজেরিয়ায় চলচ্চিত্র তৈরি হয়ে থাকে মূলত স্থানীয় ইংরেজি ভাষায়। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র ও এর তারকারা বিশেষভাবে সুপরিচিত।