দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভালোবাসার পরিণতি কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে আজকের এই কাহিনী পড়লে! প্রেমের টানে ভিনদেশে পাড়ি জমানো এক যুবকের গল্প।
কথায় বলে, ‘প্রেমেতে মজিলো মন, কি বা মুচি কি বা ডোম’! কথাটি হয়তো বাস্তবেও সত্যি। মাঝে মধ্যেই প্রেমের এমন কাহিনী শুনে সেটি সত্যি বলেই মনে হয়। যেমনটি ঘটেছে এই যুবকের ক্ষেত্রে। প্রেমের টানে ভিনদেশে এসে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাকে!
নেদারল্যান্ডের এক যুবক অনলাইনে পরিচয় হওয়া মেয়েবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ৪৫০০ কিমি পাড়ি দিয়ে গেছেন চীনে। তবে দু:খের বিষয় ওই মেয়ের কোনো খবর নেই। বিমানবন্দরে ১০ দিন অপেক্ষা করে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে।
এমন প্রেমের রোমাঞ্চকর খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি। ওই টিভির ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, ওই প্রেমিকের নাম অ্যালেক্সান্ডার পিটার কার্ক। বয়স হবে ৪০ বছর। নেদারল্যান্ড থেকে এসে তিনি বিমান বন্দরে এক নাগাড়ে ১০ দিন অপেক্ষায় ছিলেন। ভেবেছিলেন ঠিকই আসবে তার চীনা গার্লফ্রেন্ড। তার গার্লফ্রেন্ডের ডাক নাম ঝ্যাং। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো ঝ্যাং শেষ পর্যন্ত আসেননি বিমান বন্দরে। এদিকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত পিটার শেষপর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তবে মজার বিষয় হলো, বিমানবন্দরে পিটারের অপেক্ষারত ছবি অনলাইনে দেখে ঝ্যাং ঘটনাটি বুঝতে পেরেছেন। পরে ঝ্যাং সিসিটিভিকে বলেছে, ‘আমাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রথম দিকে ভালোই অগ্রগতি হয়েছিল, তবে পরে পিটারের আচরণ কিছুটা অনুভূতিহীন মনে হয়। একদিন সে আমাকে প্লেনের টিকিট দেখিয়ে বললো, সে আসছে, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম সে মজা করেছে। পরে সে যোগাযোগ করেনি।’
ঘটনা হলো পরে নাকি ঝ্যাং অন্য শহরে গিয়েছিলেন কাজে। আর তাই পিটারের পাঠানো মেসেজগুলো তিনি দেখতে পান নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্লান্ত পিটারকে হাসপাতাল থেকে সম্ভবত দেশে ফিরে গেছেন।
তবে সত্যিই ঝ্যাং এবার তার সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। তিনি কি নেদারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে সত্যিই বিমানে চড়বেন পিটারের মতো?