দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশী নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদি ‘মাল্টিপল-এন্ট্রি’ ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার। বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজু পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘৬৫ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশী নাগরিকদের ৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা অনুমোদনের প্রস্তাবটি বিবেচনাধীন রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যথাসময়ে রাজ্য সরকারগুলো ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অভিমত বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন আসাম ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্য রাজ্যগুলো পূর্ব থেকেই এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের ভাষ্য হলো, এই ধরনের উদ্যোগ নিলে সীমান্তে মানুষের ঢল নামবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যে ধরনেরই সিদ্ধান্ত হোক না কেনো, রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে যথাযথ আলোচনার মাধ্যমেই তা চূড়ান্ত হবে। তবে ভিসা ছাড়া (ফ্রি-এন্ট্রি) বাংলাদেশীদের ভারতে প্রবেশের অনুমিত দেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই আপাতত নেই।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সি বাংলাদেশীদের বিনা ভিসায় ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া নিয়ে কোনো প্রস্তাব আমাদের নেই।
ভারতের ১৬টি বিমানবন্দরে ১৫০টি দেশের নাগরিকদের জন্য ই-টুরিস্ট ভিসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই ব্যবস্থায় আরও দেশ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান হতে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অবৈধ হিন্দু-অভিবাসীদের ‘শরণার্থী মর্যাদা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় নতুন করে ভিসাসংক্রান্ত বিষয় চূড়ান্ত করার আগে সব দিক অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখছে ভারত।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কাছে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভারতের কর্মকর্তাদের নিকটে বিষয়টি একাধিকবার উত্থাপনও করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।