দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বিধ্বংসী বিমান হামলায় আহত শিশু ওমরানের সেই ছবিটিকে চীন ভুয়া বলে দাবি করেছে!
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ হতে শিশু ওমরানকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর রক্তাক্ত শরীরে অ্যাম্বুলেন্সে ভাবলেশহীনভাবে বসে থাকা শিশু ওমরানের সেই ছবিটিকে ভুয়া দাবি করেছে চীন। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রচারণা যুদ্ধের অংশ হিসেবেই পশ্চিমা বিশ্ব এমন একটি ভুয়া ছবি ব্যবহার করে থাকতে পারে।
গত ১৭ আগস্ট রাতে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কাতারজি জেলায় সিরিয়া সরকার ও রাশিয়ার বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ হতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় ওমরানকে উদ্ধার করা হয়। ওই হামলায় ওমরানের এক ভাইও নিহত হয়েছে। ওমরানকে উদ্ধারের সেই ভিডিও ফুটেজ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। তবে কাতারজি এলাকায় হামলা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে বেইজিং। তাছাড়া দেশটি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে হস্তক্ষেপের জন্য চীন সব সময় পশ্চিমা শক্তিগুলোর সমালোচনা করে আসছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সমালোচকরা মনে করেন যে, ভিডিওটি একটি প্রচারণা যুদ্ধেরই অংশ; এর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি মানবিক অজুহাত তৈরি করা।
সিসিটিভি উদ্ধারকাজের ধীরগতির সমালোচনা করে বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার কাজ পরিচালনা না করে দ্রুত ক্যামেরা বসিয়েছেন। ছবিটি পোজ দিয়ে তোলা হয়েছে? নাকি অতিরঞ্জিত? সব মিলিয়ে ভিডিওটি ভুয়া বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তবে সিসিটিভি অবশ্য সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন; যারা ওই ছবিটি তুলেছেন। এতে আরও বলা হয়, সিরীয় নাগরিকদের জমায়েত করা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে এটি করেছে সংকটকালীন উদ্ধারকারী নামে একটি সংগঠন। যার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ব্যক্তিরা ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজকে ভুয়া দাবি করা এটিই প্রথম নয় চীনের। এর পূর্বে, ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রকাশিত একটি ভিডিওকে ভুয়া দাবি করে চীন।