দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতালির মধ্যাঞ্চলে গতকাল (বুধবার) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ইতালির ওই ভূমিকম্পে আরও ৩৬৮ জন আহত হয়েছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভূমিকম্পে হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু। ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি শহর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে অনেক মানুষ। প্রায় ৪ হাজার ৩শ’ উদ্ধারকর্মী ভারি সরঞ্জাম নিয়ে সন্ধান চালাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, গতকাল (বুধবার) ইতালির স্থানীয় সময় ভোর ৩.৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭.৩০ মিনিট) শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ইতালির রাজধানী রোমের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উমব্রিয়া প্রদেশের পেরুজিয়া শহরস্থ নোরসিকা টাউনে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার এক ঘণ্টা পর একই এলাকায় কয়েকটি আফটার শক হয়। এরমধ্যে তীব্রতর শকটি ছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার।
দেশটির মধ্যাঞ্চলের আমব্রিয়া, লাৎজিও এবং মার্কে প্রদেশে রাতভর জীবিতদের খোঁজে উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আক্রান্ত এলাকার শুধুমাত্র একটি শহরে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।
ঐতিহাসিক আমাত্রিচে শহরের মেয়র বলেছেন, ভূমিকম্পে শহরটির তিন-চতুর্থাংশই ধ্বংস হয়েছে।
ভূমিকম্প এলাকায় ভারি কাজে সহায়তা করার জন্য ইটালির সেনাবাহিনীকেও সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে।
দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী মাটিও রেনজি বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পের পরই রাতে সেখানে উপস্থিত হয়ে খালি হাতে জীবিতদের উদ্ধার করার জন্য তিনি স্বেচ্ছাসেবক ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করেন।
ভূমিকম্পে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া অপর শহর আক্কুমোলির মেয়র স্টেফানো পেত্রুচ্চিস জানিয়েছেন, তিনি আর জীবিত কাওকে উদ্ধারের আশা করছেন না। এখন তাদের মূল লক্ষ্য হলো আক্রান্ত মানুষদের জন্য রাত কাটানোর সুব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে বড় রকমের ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৯ সালে। সে বছর তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়া ২০১২ সালে মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্পে ২০ জনের বেশি প্রাণ হারায়।