দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আধিপত্য বিস্তার করেছিল ব্রিটিশরা। তবে ব্রিটিশরা বিদায় নিয়েছে বহু আগেই। তবে এবার রাজপ্রাসাদের নিচে পাওয়া গেলো ব্রিটিশ আমলের গুপ্ত বাঙ্কার!
ব্রিটিশদের এক কীর্তির খোঁজ পাওয়া গেছে ভারতের মহারাষ্ট্রে। সেখানকার রাজভবনের নীচে প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা বাঙ্কার আবিষ্কার করেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল নিজেই।
রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও রাজভবনের পুরনো কর্মচারীদের মুখে এই বাঙ্কারের কথা মাস তিনেক আগে শুনেছিলেন। একসময় এই মালাবার হিল ছিল ব্রিটিশ গভর্নরদের ছুটি কাটানোর প্রধান ঠিকানা। গরমের দেশে গরমের ছুটি কাটাতে এই এলাকাটিকেই বেছে নিতেন ব্রিটিশ সাহেব-সুবোরা। পরবর্তীতে লর্ড রে এখানে পাকাপাকিভাবে বাসও শুরু করেন। সে কারণে রাজভবনের নিচে বাঙ্কারের অস্তিত্ব রয়েছে শুনেই তা নিয়ে খোঁজ-খবর করার নির্দেশ দেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল।
শেষমেশ দীর্ঘ কয়েক দশক পর দরজা খুললো এই বাঙ্কারের। একটি দেওয়াল দিয়ে আটকানো ছিল এই গুপ্ত বাঙ্কারের প্রবেশমুখটি। সেটি ভাঙতেই ভিতরে খোঁজ পাওয়া গেলো আর এক দুনিয়ার!
প্রথমে মনে করা হতো একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে এখানে। তবে তা নয়, রীতিমতো ব্যারাকই ছিল রাজভবনের নিচে। মোট ১৩টি ঘর রয়েছে এই বাঙ্কারে। বন্দুক, কার্তুজ ইত্যাদি রাখার পৃথক পৃথক ঘর সমেত প্রায় ৫ হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে এই বাঙ্কারটি। তিন মিটার চওড়া আর ১২ ফুট উচ্চতার বাঙ্কারটিতে অস্ত্র রাখার পাশাপাশি মানুষের বাসের জন্য ঘরও রয়েছে।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর হতে আর এর দরজা কেওই খোলেননি। প্রায় সত্তর বছরের মাথায় খোলা হলো এই বিশাল দরজাটি। তবে সকলেই দেখে আশ্চর্য হলেন। কারণ বাঙ্কারে এতো দশক পরেও কোনও ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। যেমনটি ছিল মনে হচ্ছে ঠিক তেমনই রয়েছে। বাঙ্কারে নিস্কাশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এমনকি আলো-হাওয়া খেলার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে! রাজ্যপাল নিজেও এই বাঙ্কার ঘুরে দেখেছেন। তাঁর ইচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য এই বাঙ্কারটি সংরক্ষণ করে রাখা হোক।
বাঙ্কারের ইতিহাস খুঁজে বের করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতিকেও এই গুপ্ত বাঙ্কারের কথা জানানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। যাতে করে এটি সংরক্ষণ করা যায় সেটির ব্যবস্থার জন্য তিনি সব করবেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।