দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে অবশেষে ৩৪ রানের জয় পেলো বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার সাকিব ব্যাট বলে দূর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে টি২০ সিরিজ ড্রয়ে সহায়তা করেন। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি, দু’ম্যাচের টি২০ সিরিজে ১০৫ রানের সাথে ৬ উইকেট নিয়ে হন সিরিজ সেরা।
পুরো সফরে এবারই প্রথম খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার শামসুর রহমান দ্রুত আউট হয়ে ফিরে গেলে, সাকিব দলের হাল ধরেন। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালকে সাথে নিয়ে গরে তোলেন ৮২ রানের পার্টনারশীপ। নিজে করেন ২৮ বলে ৪০ রান। তামিম করেন ৩০ বলে ৪৩ রান। যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ দল পুরো ২০ ওভারে ১৬৮ রান তোলে ৭ উইকেট হারিয়ে।
১৬৯ রান তাড়া করে জিম্বাবুই ইনিংসে যখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৫ বলে ৪৯ রান প্রয়োজন, তখন আশা যোগাচ্ছিলেন সিকান্দার রাজা। ঠিক তখনই দলীয় ১২০ রানের মাথায় সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের দুশ্চিন্তা দূর করেন। বোল্ড হওয়ার আগে রাজা ৩০ বলে করেন ৩২ রান।
এর আগে শুরুতেই আঘাত হানেন আবদুর রাজ্জাক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সফল এ স্পিনার ফিরিয়ে দেন মাসাকাদজাকে। আগের দিন ফিফটি হাঁকানো এ ব্যাটসম্যান দলের জন্য ২ রানই অবদান রাখতে পারেন। এরপর দলীয় ৪৫ রানে ১৫ রান করা অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে নিজের শিকার বানান সাকিব আল হাসান। এ ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই শফিউল ইসলামের বলে মাহমুদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নন ভুসিমুজি সিবান্দা। ১৯ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ৩২ রান করেন তিনি।
তবে জিম্বাবুয়ের গায়ে ধাক্কাটা আরও বড় হয় দলীয় ৭৮ রানে। রবিউল ইসলামের থ্রোতে উইলিয়ামস ১৬ রানে সাজঘরে ফিরে যান রানআউট হয়ে। জিম্বাবুয়ের পঞ্চম উইকেটের পতন হয় ৯৯ রানে। আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় শিকার হন ম্যালকম ওয়ালার ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়ে। সাকিবের বলে রাজা ফিরে গেলে, ১২ বলে ৯ রান করে মাসাকাদজা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বল ও রানের ফারাক নিয়ে ক্রমেই আশার আলো নিভে আসতে শুরু করে জিম্বাবুয়ের। সাকিব আল হাসান তার তৃতীয় শিকার বানিয়ে সাজঘরের পথ দেখান সিঙ্গিকে। পরে সাবেক অধিনায়ক উতসেয়াকে তুলে নেন শফিউল। আর মুশাঙ্গিকে বোল্ড করে সাকিব তার ৪র্থ উইকেট তুলে নেন। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে টি২০তে এটাই সাকিবের বেস্ট বোলিং ফিগার। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উকেতের বিনিময়ে জিম্বাবুয়ে করে ১৩৪ রান। বাংলাদেশ পায় ৩৪ রানের জয়।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যর্থ ছিলো বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যায় বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ম্যাচ হারলেও টপ অর্ডারে শামসুর আর সাকিবের ১১৮ রানের জুটিতে স্কোর বোর্ড সম্মানজনক রান জমা পড়ে। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ মাত্র ৬ রানে।
প্রথম টি-টিয়োন্টিতে ফিফটি হাঁকানো শামসুর রহমান ব্যর্থ হলেও সাকিব আল হাসান নিজেকে ধরে রাখলেন দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও। আর তামিমের শুরুটা ধীর গতির হলেও ক্রমেই নিজেকে ফিরে পান এ মারকুটে ওপেনার। এতে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-সাকিবে গড়ে ওঠে ৮২ রানের জুটি। স্কোর বোর্ডে তখন মাত্রই ৮.৫ ওভার। উইকেট দেয়ার আগে সাকিব ২৮ বলে করেন ৪০ আর ৩০ বলে তামিম ইকবাল করেন ৪৩ রান। দু’জনেরই ৬ বাউন্ডারির সঙ্গে একটি করে ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত মমিনুল আর নাসিরের ৩৬ রানের জুটিতে বড় স্কোর পায় বাংলাদেশ। মমিনুল ৯ ও ২৭ রানে নাসির আউট হলে খুব বেশি এগুতে পারেনি বাংলাদেশ। রাজ্জাকের ৬* ও সোহাগ গাজীর ৮* রানে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান যোগ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল।
সূত্রঃ ক্রিকইনফো