দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের শখ যে কতোরকম থাকতে পারে তা বোঝা মুশকিল। এমনই এক আজব শখে পড়ে এক যুবক কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা দেখুন ভিডিওতে!
মানুষের নানা রকম শখ থাকে। কারো শখ দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানো। আবার কারও শখ গান করা, নৌকাভ্রমণ, বিমানে চড়া। আবার কেও নতুন গাড়ি হাকানোর শখে বিভোর থাকেন। তবে এক বেকুব ব্রিটিশ যুবকের শখের কথা শুনলে আপনিও ভিমড়ি খাবেন!
ক্রেমার ক্যানডার নামে ওই ব্রিটিশ যুবকের ইচ্ছে জাগল তিনি মরিচের সসে গোসল করবেন! ইচ্ছেমতো শুরু হলো তার শখ পুরণের কাজ। তীব্র ঝালের এক হাজার ২৫০ বোতল সস একটি বাথটাবে ঢেলে ফেললেন। তবে তারপর কেনো জানি তার মনে হলো, এতেও তার খুব একটা ফিলিংস আসবে না। এরপর তাতে ছিটিয়ে দিলেন বেশ কিছু পরিমাণ গুঁড়া মরিচও!
বন্ধুর হাতে ক্যামেরা দিয়ে নেমে পড়লেন মরিচের সসে। শরীর ডুবিয়েই টের পেলেন মরিচ কি জিনিস। তারপরও ইচ্ছের দৃঢ়তা বাস্তবায়নে ক্রেমা মাথাও ডুবিয়ে দিলেন এরমধ্যে। তবে দেড় মিনিটের বেশি তার এই গোসল স্থায়ী হলো না।
এমন শখের গোসলের পর কি হতে পারে তার মুখেই শোনা যাক। ক্রেমার এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘যন্ত্রণাময় গোসল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মরিচের সস হতে উঠে পানিতে গোসল সেরেও তার রেশ ছিলো কয়েক ঘণ্টা!
প্রথমে ক্রেমার লাল সসে শরীরের নিচের দিকটা আগে নামান। সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর অঙ্গের নাম মুখে এনে যন্ত্রণায় ‘ঈশ্বর’ বলে চিৎকার দিতে থাকেন। এরপর পুরো শরীর ডুবিয়ে দেন। তবে এরপরও দমে না গিয়ে গোসল সেরে বসলেন ক্রেমার।
এরপর বন্ধুর কাছে তাওয়েল চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন ক্রেমার, ‘শেষ পর্যন্ত আমি সফল।’ পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও রেশ টের পান ক্রেমার। গোসলের অনুভূতি সম্পর্কে পরে ক্রেমার বলেন, ‘মরিচের রেশ পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ছিলো। এ সময় আমার মনে হয়েছে, কেও মনে হয় আমাকে নরকে ছুঁড়ে ফেলেছে আর আমি সেখান থেকে ফিরে এসেছি।’
ক্রেমার পরে এই মরিচ গোসলের ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেন। সেটি ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৯ লাখেরও বেশি লোক দেখেছে।
দেখুন সেই ভিডিওটি