দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি কারাজীবন কেবলমাত্র অপরাধীদের জন্যই। তবে অপরাধ কিংবা বিপত্তি না থাকা সত্বেও পেতে পারেন কয়েদী জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা তাও মাত্র ৬০০ টাকায়!
বাধ্য হয়ে জেলখানায় যান অনেকেই। তবে শখ করে জেলখানায় যাওয়ার কথা আগে কখনও আমরা শুনিনি। তবে এমন একটি অভিজ্ঞতা অর্জনে অবশ্য সামান্য খরচ করতে হবে। এই শখ পূর্ণ করতে লাগবে ৫০০ রুপি (বাংলাদেশী টাকায় ৬০০ টাকা)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
এই ঘটনা ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের। কারা জীবন কতো কঠোর, সেটা বোঝাতে এই অভিনব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার।
তারা একটি প্রাচীন কারাগারকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছের। সেখানে কেও চাইলেই ৫০০ রুপি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন!
জানা গেছে, তেলেঙ্গানার এই মেডাক শহরের কারাগারটি ২২০ বছরের পুরনো। হায়দ্রাবাদের নিজাম তৈরি করেন এই কারাগারটি। কারাগারটি সম্প্রতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন একটি জায়গায়।
পুরনো জেলের একটি অংশে তৈরি হয়েছে জাদুঘর। অপর একটি অংশে পর্যটকদের লকাপে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে- ‘ফিল দ্যা জেল’ কিংবা ‘কারাগারের অনুভূতি’।
অন্য পর্যটন কেন্দ্র বা হোটেলে যেমন আরাম-আয়েশে থাকা যায়, এই জেলে কাটাতে হবে একেবারে কয়েদীদের মতোই। যেমন সাদা-কালো ডোরা কাটা পোশাক পরিয়ে রাখা হবে লকাপে।
সৌখিনদের জেল কোড অনুযায়ী সকালের চা, জলখাবার ও দুপুর- রাতের খাবার দেওয়া হয়। যে খাবার কয়েদীদের জন্য রান্না হয়, ঠিক সেই খাবারই পর্যটকদেরও দেওয়া হয়!
আবার সেখানে মেঝেতে শোয়ার জন্য কম্বল থাকে। বাড়তি শুধু সেলের ভেতরে রয়েছে একটা ফ্যান, যেমন ভিআইপি সেলে থাকে।
সাধারণ জেলে যেমন বিকেল সাড়ে ৫টার সময় মাথা গুণতির পর লকাপে ঢুকে যেতে হয়, এখানেও ব্যবস্থা ঠিক সেরকমই। আবার ঠিক ভোর বেলায় লকাপের দরজা খোলা হয়।
জানানো হয়েছে, এই জেলে নাকি নারীরাও থাকতে পারেন। আবার সাধারণ জেলে যেমন পরিবারের সঙ্গে কয়েদীদের থাকা নিষেধ, এখানেও ঠিক তেমনই নিয়ম।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনেক পর্যটন এজেন্সি ও সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারে খোঁজ খবর করছেন। অনেকেই আবার ২৪ ঘণ্টা এই কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে জেনে সঠকে পড়ছেন!