দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানী ঢাকার রূপনগরের একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে একজন নিহত হয়েছেন। যাকে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে ধরা হয় বলে কর্মকর্তারা বলেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘নিহতের নাম মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ। সে ওই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।’
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে তারা অভিযান চালান।
এই অভিযানে রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির এবং এসআই মো. মোমেনুর রহমান আহত হন।
মুরাদের পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সে জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক। সংগঠনের মধ্যে সে মেজর মুরাদ নামে পরিচিত ছিল।’
উল্লেখ্য, গুলশানের ক্যাফেতে হামলার ‘হোতা’ তামিম চৌধুরী গত ২৭ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশি অভিযানে নিহত হওয়ার পর তদন্তে গিয়ে রূপনগরের এই বাসায় মুরাদের অবস্থানের বিষয়টি জানা যায় বলে জানিয়েছেন ছানোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, এর আগেও একদিন তারা ওই বাসায় অভিযানে গিয়েছিলেন। তবে সেদিন বাসাটি তালাবন্ধ থাকায় ফিরে আসেন তারা।
‘বাড়িওয়ালাকে বলে আসা হয় যে, ভাড়াটিয়া এলে পুলিশকে জানাতে। আজকে সে মালামাল আনতে বাসায় গেলে বাড়িওয়ালা বাইরে হতে তালা লাগিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এই অভিযান চালায়।’
‘তালা খুলে বাসায় ঢুকতেই সে পুলিশকে স্ট্যাব করে। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সে।’
আহত ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ ও শাহীনকে সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।