দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেঁতুল গাছে নাকি ভুত থাকে। এমন কথা আমরা ছোটবেলায় শুনেছি। কিন্তু এখনকার আধুনিক যুগে তা কেও বিশ্বাস করেন না। তবে আজ রয়েছে রহস্যময় ৪শ’ বছরের পুরোনো একটি তেঁতুল গাছের গল্প!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৪শ’ বছরের পুরোনো একটি রহস্যময় তেঁতুলগাছ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা রসাত্মক গল্প। এই তেঁতুল গাছের কাহিনী অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই!
ঠাকুরের হাতের রোপন করা এই গাছের তেঁতুল জটিল রোগের মুক্তি মেলে, আবার নিঃসস্তান দম্পতিরাও নাকি সস্তান লাভ করেন। আর তাই প্রতিদিন এই তেঁতুল গাছের নিচে শত শত দর্শনার্থীরা আসেন পূজা দিতে। অপরদিকে মুসলমান নর-নারীরাও আসেন নিজের মনোবাসনা পূরণের জন্য হাজির হন শিরনী নিয়ে!
বিশাল এই তেঁতুল গাছের নিচে রয়েছে শিববানী ঠাকুরের একটি মন্দির, একটি নাট মন্দির এবং সেইসঙ্গে রয়েছে যাত্রী নিবাস বসতঘর। নবীগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ১০ কিলোমিটার অদুরে গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের শিববানী ঠাকুরের বাড়ীতে রয়েছে ৪শ’ বছরের পুরনো এই তেঁতুল গাছ। রহস্যময় এই তেঁতুল গাছটি দেখতে অনেকে যান ঠাকুর বানীর বাড়িতে। আবার মানতও করে থাকেন অনেকেই। এই গাছটি নিয়ে এলাকায় নানা প্রবাদও রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর ছড়িয়ে রয়েছে এই বিশাল পুরনো তেতুঁল গাছটি। গাছের এক একটি শিকড় প্রায় ৩০/৪০ ফুট দীর্ঘ হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।গাছটির প্রসস্থ প্রায় ১৫ফুট উচ্চতা ৪০/৫০ ফুট ডাল পালা ৬০/৭০ ফুট নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তেতুঁল গাছের তেতুঁল টক হবার কথা, এই তেঁতুল গাছের তেঁতুল মোটেও টক নয়, অত্যান্ত সুস্বাধু মজাদার। একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করে। এই তেতুঁল খেয়ে অনেকের মনোবাসনা পূরণ হয়েছে। প্রতিবছর ওই গাছের ১৫/২০ মন তেতুঁল আসে। এগুলো ভক্তবৃন্দের মাঝে বিতরণ করা হয়। তেঁতুল গাছের আকার প্রতিদিন বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিশাল আকার ধারন করেছে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে, প্রতি স্বরসতি এবং দূর্গা পূজায় শিব ঠাকুর বানী তেতুঁল গাছে আসেন। তাই ওই দুটি পূজায় হিন্দুরা সারারাত জেগে কীর্তন করে থাকেন।
কথিত রয়েছে যে, এই গাছ কাটার নিয়তে কেও গাছের কাছে গেলে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত এসে মারা যায়। এই তেঁতুল গাছটি পূর্বে বেশ কয়েকবার বিক্রি করা হয়। তবে কেও সাহস পায়নি এই রহস্যময় তেঁতুল গাছটি কাটার।