দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক আশ্চর্যজনক গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে জন্ম নেয় না শিশু! ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল হতে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই গ্রামটির নাম সাঁকা জাগী।
ভারতের এই গ্রামটি অবস্থানগত দিক হতে দুর্গম নয়, তবে স্রেফ কুসংস্কারের কারণে এই গ্রামের মানুষ পড়ে রয়েছেন কয়েকশ’ বছর পিছনে! আশ্চর্যের বিষয় হলো গ্রামটিতে বেশ কয়েক দশক ধরে কোনো শিশুর জন্ম হয়নি। কারণ হলো গ্রামের মানুষের এমন এক বিশ্বাস জন্মেছে যে, গ্রামে যদি কোনো শিশুর জন্ম হয় তাহলে মৃত্যু হবে কিংবা বাচ্চাটি পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই গর্ভবতী নারীদের প্রসবকালীন সময় গ্রামের বাইরে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য সন্তানের জন্মের পর তারা আবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
গ্রামের বাইরে একটি প্রসূতি ঘর তৈরি করা রয়েছে, সেখানেই বেশীরভাগ মা তাদের সন্তানদের জন্ম দেন। অাবার কেও কেও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজগড় জেলায় নরসিংগড় মহকুমার অধীনে অবস্থিত সাঁকা জাগীর গ্রামটিতে প্রায় ১২০০ মানুষ বসবাস করেন। এখানকার বেশিরভাগই গুর্জর সম্প্রদায়ের মানুষ। গ্রামে রয়েছে একটি সুপ্রাচীন মন্দির।
বিবিসি বাংলা খবরে প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হয়েছে, তবে আশার কথা হলো গ্রামের বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান বয়সে খুব তরুণ, নাম নরেন্দ্র সিং, তিনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গ্রামের মানুষদের এমন বিশ্বাস ভাঙতে। নরেন্দ্র এবং তার অপর আট ভাইয়ের জন্মও হয়েছে গ্রামের বাইরেই।