দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক ছবির মতোই বিস্ময়কর শহর হলো চীনের শেনজেন! বাস্তবে দেখলে বিস্ময়ের যেনো কোনো শেষ থাকে না।
২৪ কিলোমিটার নতুন এই সেতুটি দক্ষিণ চীন সাগর জুড়ে নির্মাণ করা সেন্জ়েং শহরটিতে। সত্যিই এক চমৎকার সে দৃশ্য।
আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় সবকিছুই যেনো পরিকল্পিত, সাজানো, গোছানো ছবির মতো একটি শহর এটি। চীনের প্রথম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল শেনজেন মাত্র ৩৬ বছরেই পরিণত হয়েছে বিশ্বের এক অন্যতম অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে।
এটি একটি ব্যবসায়িক নগরী হিসেবে পরিচিত হলেও পুরো শহরটিকেই গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব শহর হিসেবে, যা অনুকরণীয় হতে পারে বাংলাদেশের নগরীগুলোর জন্যও।
গুয়াংজু প্রদেশ হতে একশ কিলোমিটার দূরে হংকং লাগোয়া চীনের শেনজেন সিটি অবস্থিত। চীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা ১৯৮০ সালে প্রথম গড়ে তোলে এই শহরটি।
৩ দশকেই শেনজেনের অবস্থান বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির ১৯তম প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে। কংকা, স্কাইওর্থ, টেনসেন্ট, ওয়ান প্লাস ও হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর হতে শুরু করে বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও চীনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে এই শহর হতে।
জানা যায়, প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরটির গত বছর জিডিপি ছিলো বাংলাদেশের বাজেটের প্রায় ৭ গুণ অর্থাৎ ২২ লাখ কোটি টাকা! পুরো চীনের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি যেখানে ৯ দশমিক ৮ সেখানে শুধু এই শেনজেনেরই প্রবৃদ্ধি অর্জন ১৬ দশমিক ৩ ভাগ!
বাণিজ্য নগরী হলেও পুরো শহরটি গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে। পরিকল্পিত প্রতিটি ভবনের সামনে সড়ক বিভাজনে বা রাস্তার দুই পাশে চোখে পড়বে গাছ-গাছালির দীর্ঘ সারি।
ঢাকা শহরে যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে সেখানে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ জনসংখ্যার এই শহরের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলেও পরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য নেই কোনো যানজট বা শব্দ দূষণ।
ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আকাশ ছোঁয়ার পরিকল্পনায় বেড়ে উঠছে সেনজেন শহর। এই শহরে রয়েছে ১শ তলার কিংকে ভবন ছাড়াও ২০০ মিটারের বেশি উচ্চতার ভবন ৫৯টি।