দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ বৃটিশ মনে করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে সবচেয়ে ভয়াবহ স্থান’ বানিয়ে ফেলবেন! লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের পক্ষে চালানো কমরেস (ComRes) জরিপে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট হিসেবে প্রকাশ করা ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, শতকরা ৬৬ ভাগ বৃটিশ মনে করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে সবচেয়ে ভয়াবহ স্থানে’ পরিণত করবেন। তারা আরও মনে করেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হবেন একজন খারাপ প্রেসিডেন্ট। ট্রান্স আটলান্টিক রিলেশন্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃটেনের বাণিজ্য কেমন হবে এমন এক প্রশ্নে বেশির ভাগ বৃটিশই একই সুরে কথা বলেছেন।
ওই প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে দেওয়া মূল কিছু প্রতিশ্রুতি হতে পিছু হটতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, তিনি ওবামাকেয়ার বাতিল করার কথা বলেছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ওবামাকেয়ারের কিছুটা রাখার পক্ষে কথা বলেছেন। আবার সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি গ্রহণ করেছে তিনি হয়তো সেভাবেই রাখতে পারেন। তিনি আইএসকে দমনের জন্য রাশিয়া এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে জোট বাধার কথা বলেছিলেন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ চলছে। আজ (রবিবার) সেখানে ছুটির দিন। এদিন নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। তাতে যোগ দিতে ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সম্মতি জানিয়েছেন। এমন এক অবস্থায় ওই জরিপ পরিচালনা করেন কমরেস। তাতে দেখা যায় যে, শতকরা ৬৬ ভাগ বৃটিশ মনে করেন যে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে সবচেয়ে ভয়াবহ স্থান’ বানিয়ে ফেলবেন। অপরদিকে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ মানুষ মনে করেন যে তিনি বিশ্বকে একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত করবেন।
ওই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৫৩ ভাগ বৃটিশ বলেছেন, ‘ট্রাম্প হবেন একজন বাজে প্রেসিডেন্ট’ (ব্যাড প্রেসিডেন্ট)। অন্যদিকে শতকরা ১৫ ভাগ মনে করেন তিনি হবেন একজন ভালো প্রেসিডেন্ট। শতকরা ৫৮ ভাগ মনে করেন যে, ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয় ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্য একটি ভয়াবহ উদাহরণ হয়ে থাকবে। অপরদিকে শতকরা ২৬ ভাগ মনে করেন এটাই রাজনীতির ধরন। শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-বৃটেনের সম্পর্ক হবে খারাপ। তবে শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ এই সম্পর্ক ভালো হবে বলেও মনে করেন। শতকরা ৩৬ ভাগ মানুষ মনে করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উপযুক্ত বাণিজ্যের জন্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি হবে উপযোগী। তবে শতকরা ৩২ ভাগ এর বিপরীত মতও দিয়েছেন।