দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদের পৃষ্ঠে উল্কার আঘাতের ফলে বিস্ফোরণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলেন গত ৮ বছর যাবৎ। এ বছর ১৭ মার্চ একটি ছোট পাথরের চাই সদৃশ্য উল্কা চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। উল্কা বিস্ফোরণটি যে কোন সময় থেকে দৃশ্যমান হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বলে দাবি করছেন নাসা বিজ্ঞানীরা।
নাসার মেট্রোয়িড এনভায়ারনমেন্ট অফিস এর বিল কুকি বলেন, বিস্ফোরিত হবার পর নিকট সময়ের যেকোন বিস্ফোরণ থেকে এটি প্রায় ১০ গুণ উজ্জলতা ছড়াচ্ছিল। ওই মুহূর্তে যে কেও টেলিস্কোপ ছাড়াই বিস্ফোরণ পরবর্তী মুহূর্তটি দেখতে সক্ষম হন। সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণটির প্রভাব একটি ৪ মাত্রার তারার সম পরিমাণ প্রজ্জলিত হয়।
মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টার এর রন সাগস ১৪” টেলিস্কোপ এর সাথে ভিডিও রেকোর্ডার যুক্ত করে ঘটনাটি ধারণ করেন। সাগস বলেন, মনে হচ্ছিল এটা আমার সামনে ঘটছে আর এটা অনেক উজ্জল ছিল।
আঘাত হানা উল্কাটি ৪০ কেজি ভরের ছিল। ০.৩ থেকে ০.৪ মিটার প্রশস্থ উল্কাটি ৫৬ হাজার মিটার পার আওয়ার গতিতে চাঁদে আঘাত হানে। বিস্ফোরণের মাত্রা মাপা হয় ৫ টন টিএনটি বিস্ফোরণ এর সমান। কুকি মনে করেন চাঁদে এর ফলাফল একটা বিশাল ঘটনা। পৃথিবী থেকে অনেকেই চাঁদের হঠাৎ করে জ্বলে উঠা এই দুর্লভ ঘটনাটি দেখতে পান।
ভিডিওটি দেখতে পারেন ইউটিউবে বা সরাসরি আমাদের সাইট এ –
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে চাঁদের আবহাওয়াতে অক্সিজেন নেই উল্কা জ্বললো কি করে? এ প্রসংঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, দৃশ্যমান বা জ্বলে উঠার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন পড়ে না । উল্কা প্রচন্ড গতিতে আছড়ে পড়ে পৃষ্ঠ আঘাত হানে যা কয়েক ফিট গভীর গর্ত তৈরি করতে পারে। আলোর প্রজ্জলন টা আসে মূলত তাপের ফলে গলিত লোহার আলোক বিচ্ছুরণ থেকে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, নাসা